আইসিএমআর-নাইসেডের বিরুদ্ধে টুইট করে নিম্ন মানের কিট সরবরাহের অভিযোগ তুলল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
সম্প্রতি বঙ্গে করোনা সংক্রমণে নমুনা পরীক্ষার হার নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন নাইসেড-প্রধান শান্তা দত্ত। তা নিয়ে কম হইচই হয়নি। তার পরে আরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করানোর জন্য রাজ্যের উপরে চাপ বাড়তে শুরু করে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার ফল পেতে কেন দেরি হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গে আইসিএমআর-নাইসেডকে নিশানা করে এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পরপর চারটি টুইট করা হয়। প্রথম টুইটে বলা হয়েছে, দু’সপ্তাহ আগে আইসিএমআর-নাইসেড থেকে যে-সব কিট দেওয়া হয়েছে, সেগুলি ব্যবহার করে বিপুল সংখ্যক নমুনার রিপোর্ট অসম্পূর্ণ এসেছে। এই প্রেক্ষিতে পুনরায় পরীক্ষা করে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেতে দেরি হয়েছে।
পরের টুইট আরও ধারালো। স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, পুণের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি’ থেকে যখন কিট সরবরাহ করা হত, তখন এই সমস্যা ছিল না। আইসিএমআর-নাইসেডের মাধ্যমে কিট সরবরাহের পর থেকেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকার টুইটে জানিয়েছে, শুধু বাংলা নয়, দেশের অন্য টেস্টিং ল্যাবরেটরিগুলিও একই ধরনের সমস্যার শিকার। পরের টুইটে আইসিএমআর-নাইসেডের সরবরাহ করা কিটকে ‘ডিফেক্টিভ কিট’ আখ্যা দিয়ে স্বাস্থ্য দফতর লিখেছে, কলকাতায় বিপুল সংখ্যক নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করতে হচ্ছে। যখন মহামারীর সঙ্গে মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তখন এই পুনঃপরীক্ষায় সময় নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। তাদের বক্তব্য, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করা উচিত আইসিএমআরের।