রাজ্যে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় অনেক দিন আগেই র্যাপিড টেস্টের দাবি উঠেছিল। এরপর গতকাল স্বাস্থ্যভবন গোটা রাজ্যে র্যাপিড টেস্ট শুরু করার কথা ঘোষণা করে। আর আজ থেকেই কোচবিহারে শুরু হয়ে গেল করোনা মোকাবিলায় এই নয়া পদ্ধতি। র্যাপিড টেস্টের প্রথম ধাপ হিসেবে রবিবার থেকেই কোচবিহার পুর এলাকার সব থেকে ঘন বসতিপূর্ণ ২০ নম্বর ওয়ার্ডের হরিজন বস্তিতে শুরু করল থার্মাল চেকিং। ফুসফুসের সংক্রমণ ও নিউমোনিয়ার টেস্ট শুরু হল শহরের বিভিন্ন এলাকায়।
কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক সঞ্জয় পালের নেতৃত্বে এ দিন প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা বিভিন্ন মহল্লায় বাড়ি বাড়ি যান। ঘন বসতি এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের থার্মাল চেকিং করা হয়। একইসঙ্গে বাইরে থেকে আসা কোন মানুষ সেখানে রয়েছেন কি না তারও খোঁজ করেন। এই বিষয়ে কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানিয়েছেন, ‘আগামী তিনদিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই থার্মাল চেকিং আরও পাঁচগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। আমরা সবার সহযোগিতা চাই। জেলায় এখনও কোনও করোনা পজিটিভ নেই। এই অবস্থাটাই রাখতে হবে সবাই মিলে।’
এদিকে, আজ সকাল থেকে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বিভিন্ন বাজারেও থার্মাল স্ক্রিনিং করা শুরু করল প্রশাসন। সকাল থেকে যাঁরা বাজার করতে বেরিয়েছেন তাঁদের লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে হাবড়া থানা, হাবড়া পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের উপস্থিতিতে চলেছে থার্মাল স্ক্রিনিং। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, হাবড়া থানা এলাকার বড় দু’টি বাজার ও নাকা চেকিং পয়েন্টে থার্মাল স্কিনিং করা শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে চলছে হ্যান্ড স্যানিটাইজ করাও। এখন বেশ কিছুদিন এই ব্যবস্থা চলতে থাকবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
হাবড়া থানার আইসি গৌতম মিত্র এই বিষয়ে বলেছেন, ‘এখানে দেখা হচ্ছে যে কারও শরীরের তাপমাত্রা বেশি আছে কিনা বা অন্য কোনও অস্বাভাবিকতা আছে কিনা। এভাবেই সব জায়গায় প্রাথমিক ভাবে করোনা ভাইরাস রোগীদের চিহ্নিত করা হয়।’ একাধিক বাজার ছাড়াও বেলঘরিয়া বাইপাসের নাকা পয়েন্টে এই কাজ চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত ভাবে এখন এই অভিযান চলবে বলে জানান হাবড়ার আইসি।