দলে থাকতেই প্রকাশ্যে জেডিইউ সুপ্রিমোর একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন তিনি। সমালোচনার পথে হেঁটেছেন বারবার। তবে এর জেরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও চুপ নেই প্রশান্ত কিশোর। এবার ফের পিকের তিরে বিদ্ধ হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। দু’জায়গায় দু’রকম পদক্ষেপ নেওয়ায় নির্বাচন কৌশলী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলেন, ‘নীতিশজি, আপনার মর্যাদাবোধ এখন কী বলছে?’ বিহার সরকারের মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে কঠোর ভাবে লকডাউনের নিয়ম লাগু করার আর্জি জানানোর দু’দিন পরই নীতিশ কুমারের সরকার বিজেপি বিধায়ক অনিল সিংয়ের ছেলের কোটা থেকে পাটনা ফিরে আসার যাতায়াত পাস ইস্যু করে। এর থেকেই প্রমাণ হয়, নীতিশ কুমারের প্রশাসন যা বলে সেটা করে না, এই অভিযোগ তুলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন পিকে।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়া ছাত্রদের লকডাউনের মধ্যে নিজেদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ সরকার ৩০০টি বাস পাঠায়। একটি রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ অনৈতিক ও লকডাউনের আদর্শের পরিপন্থী বলে চিহ্নিত করে নীতিশ কুমার তার তীব্র সমালোচনা করেন। ‘যেভাবে কোটা থেকে ছাত্রদের নিয়ে আসার জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটা লকডাউনের আদর্শের পরিপন্থী’ বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করেন নীতিশ। সেই কোটাতেই আটকে থাকা কয়েক হাজার ছাত্রের একজন হল বিজেপি বিধায়ক অনিল সিংয়ের ছেলে। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বিহার প্রশাসনের তরফে পাস দেওয়া হয়। এই বিষয়টিকেই সামনে এনে জনতা দল (ইউনাইটেড) থেকে বহিষ্কৃত প্রশান্ত কিশোর আক্রমণ শানান তাঁর প্রাক্তন নেতার বিরুদ্ধে।
পিকে তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ১৯ এপ্রিল টুইট করে বলেন, ‘কোটায় আটকে পড়া বিহারের ছেলেদের সাহায্য করার আবেদন জানানো হয়েছিল। নীতীশ কুমার সেটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন… এখন তাঁর সরকার বিজেপি বিধায়কের ছেলেকে কোটা থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য বিশেষ অনুমতি দিল। নীতিশজি, আপনার মর্যাদাবোধ এখন কী বলছে?’ এই একই কারণে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের তেজস্বী যাদবও সমালোচনা করেন নীতিশ কুমারকে। বিরোধী দলনেতা তাঁর টুইটে জানান, প্রভাবশালীদের ছেলেদের ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার থেকে এমন বহু অনুমতিপত্রই দেওয়া হয়েছে, কোটায় আটকা পড়ে আছে শুধু বিত্তহীন ঘরের ছেলেরা।