লকডাউনের জেরে দেশে প্রচুর কর্মহানী ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বহু সংস্থাই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ছোট সংস্থাগুলিকে বাঁচাতে আগেই কর্মীদের পিএফ-এর দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে অর্থমন্ত্রকের তরফে। এবার আরও বেশি সংস্থার ক্ষেত্রে সেই নিয়ম চালু করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থমন্ত্রক সূত্রে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি করেছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস।
কোভিড-১৯ মহামারী রূপে দেখা দিলে প্রথমে দেশে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পরেই লকডাউনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত সংস্থাগুলিকে বাঁচাতে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তখন বলা হয়, যে সব সংস্থায় ১০০ জন পর্যন্ত কর্মী কাজ করেন সেখানে ১৫ হাজার টাকা বা তার নীচে যাঁদের বেতন তাঁদের পিএফ-এর গোটা টাকাটাই দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। তিন মাসের জন্য এই সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এর জন্য বরাদ্দ করা হয় ৪,৮০০ টাকা।
এখন লকডাউনের মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায় সেই সুবিধা আরও বেশি সংখ্যক সংস্থাকে দেওয়ার কথা ভাবছে অর্থমন্ত্রক। জানা গিয়েছে, ১০০-র বেশি কর্মী রয়েছে এমন সংস্থার ক্ষেত্রেও এই সুবিধা ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। তবে ঠিক কী ঘোষণা হতে পারে সেটা জানা যায়নি।
এমনিতে বেতনের ২৪ শতাংশ হয় পিএফ। এর মধ্যে ১২ শতাংশ দিতে হয় চাকরিজীবীকে। বাকি ১২ শতাংশ দেয় চাকরিদাতা সংস্থা। কেন্দ্র চাইছে এই ২৪ শতাংশ টাকাই কর্মীদের পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করবে সরকার। এতে বেসরকারি ক্ষেত্রের চাকরিজীবীরা যেমন সুবিধা পাবেন তেমনই সুবিধা পাবে চাকরিদাতা সংস্থাগুলিও।