দু’জনের শরীরে করোনার উপসর্গ পাওয়া গিয়েছিল। আর তার জেরেই কোয়ারানটিনে পাঠানো হল ১৫০০ মানুষকে। ঘটনা ই এম বাইপাসের ধারে কলকাতা পুরসভার ১০৯ ওয়ার্ডের শহিদ স্মৃতি কলোনির। গতকাল থেকেই এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই এলাকার বহু বাসিন্দা বাইপাস-সহ দক্ষিণ কলকাতা বিভিন্ন এলাকায় পরিচারিকার কাজ করেন।
এছাড়াও কাজের তাগিদে দুই ২৪ পরগনাতেই যাতায়াত ছিল বাসিন্দাদের। ঘিঞ্জি কলোনিতে প্রায় ৮০০ ছোট ছোট ঘর রয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, লকডাউনের পরও এখানে সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন করা হয়নি। আপাতত বাইপাস সংলগ্ন ওই কলোনির যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে। কোয়রেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে প্রায় ১৫০০ জনকে।
বাইপাস সংলগ্ন এই ওয়ার্ড পূর্ব যাদবপুর ও পঞ্চসায়রের অধীনে রয়েছে। শহিদ স্মৃতি কলোনি মূলত পঞ্চসায়র থানার অধীনে। এলাকায় কড়া নজর রাখছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। কোনও ভাবেই ওই কলোনি থেকে যাতে সংক্রমণ না ছাড়ায়, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে। উপসর্গ অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ই এম বাইপাস থেকে ওই বস্তির চার দিকের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড পঞ্চসায়র ও পূর্ব যাদবপুর থানার অধীনে রয়েছে। শহিদ স্মৃতি কলোনি মূলত পঞ্চসায়র থানার অধীনে। তা সত্ত্বেও দু’টি থানার নজরদারিতেই রাখা হয়েছে ওই কলোনি। ওই কলোনিকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে দাবি করছেন প্রশাসনের কর্তারা।