দেশে করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ আগেই জানিয়েছিল, সরকারি উদ্যোগে ভারতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে ছ’টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে। তাছাড়াও ভ্যাকসিন ও ড্রাগ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আইআইটি, ফার্মা কোম্পানি ও সায়েন্স রিসার্চ ফার্ম। এতদিনে করোনা প্রতিরোধী সেই ভ্যাকসিন বা ড্রাগ তৈরির কাজ কতদূর এগিয়েছে বা সেই গবেষণা কোন স্তরে রয়েছে তা জানতে এবার উচ্চপর্যায়ের টাস্ক ফোর্স গঠন করল কেন্দ্রীয় সরকার।
সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই টাস্ক ফোর্সের কাজ হবে বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা। দেশের কিছু সরকারি ও বেসরকারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছে। সেই গবেষণা যাতে আরও দ্রুতগতিতে হয় সেটাও খেয়াল রাখবে এই টাস্ক ফোর্স।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, নীতি আয়োগ ও প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞানবিষয়ক মন্ত্রকের মুখ্য উপদেষ্টার অধীনে কাজ করবে এই প্যানেল। আয়ুষ, আইসিএমআর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা থাকবেন এই টাস্ক ফোর্সে। তাছাড়াও কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ, বায়োটেকনোলজি, ডিআরডিও, ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিস ও কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের বিজ্ঞানী, গবেষকরাও থাকবেন এই কেন্দ্রের তৈরি এই টাস্ক ফোর্সে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বায়োটেকনোলজি বিভাগের মূল কাজ হবে ভ্যাকসিন তৈরির বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির দিকে খেয়াল রাখা। যেমন এই গবেষণা বর্তমানে ঠিক কোন স্তরে রয়েছে, কোন পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে, মানুষের উপর ট্রায়াল কবে সম্ভব, এই ভ্যাকসিন বা ড্রাগ আদৌ কতটা সুরক্ষিত, সেইসব দেখার দায়িত্বও থাকবে এই বিভাগের।
করোনা প্রতিরোধী নতুন ড্রাগ এখনও তৈরি না হলেও পুরনো কিছু ড্রাগের ট্রায়ালের জন্য গবেষণা চলছে আইসিএমআরে। যার মধ্যে রয়েছে ম্যালেরিয়ার ড্রাগ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ইবোলার ড্রাগ রেমডেসিভির। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বৈঠকে আইসিএমআরের এপিডেমোলজি ও কমিউনিকেবল ডিজিজের প্রধান ডক্টর রমন আর গঙ্গাখেদকার বলেছেন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ৪৮০ জন রোগীর উপরে প্রয়োগ করে তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। রোগীদের উপর এই ওষুধের প্রভাব কেমন সেটা জানতে আরও মাস দুয়েক সময় লাগবে।