লকডাউন জারি থাকা সত্ত্বেও ভারতে রোজই বাড়ছে করোনা সংক্রমণের পরিমাণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যদিও দাবি করেছে, দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এই অবস্থায় ভারতে করোনার ভবিষ্যৎ কি, তা আগামী ৫-৭ দিনের উপরেই নির্ভর করছে বলে জানালেন এইমস-র ডিরেক্টর ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। এদিন একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনই জানিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে এই প্রসঙ্গে রেমডেসিভির ড্রাগের ব্যবহার ও প্লাজমা থেরাপির প্রসঙ্গে টানেন গুলেরিয়া। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধে রেমডেসিভির ড্রাগ ব্যবহার করা যেতে পারে কিনা তার একাধিক ট্রায়াল চলছে। প্লাজমা থেরাপি করে দেখার কথাও ভাবছি আমরা।’ ডক্টর গুলেরিয়া আরও বলেন, ‘প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে ইবোলার মতো রোগও সারানো সম্ভব। এর মূল বিষয় হল একজন কোভিড-১৯ সংক্রামিত হওয়ার পরে সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁর শরীরের অ্যান্টিবডি করোনা প্রতিরোধে সক্ষম হয়ে ওঠে। তখন তার শরীরের প্লাজমা অন্য আক্রান্তের শরীরে দেওয়া হয়। এটা তখনই হতে পারে যখন কেউ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।’
এদিন তিনি আরও বলেন যে, ‘গত কয়েক দিন আমরা এই করোনা সংক্রমণ একটা স্থিতিশীল জায়গায় নিয়ে আসতে পেরেছি। যদি আমরা আগামী কয়েক দিনেও এটা বজায় রাখতে পারি, আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারব যে আমরা ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পুরোপুরি স্থিতিশীল করতে পেরেছি। তাহলে আর দ্রুত এই সংক্রমণ ছড়াবে না। আমরা করোনা প্রতিরোধে অনেকটাই সাফল্য পাব।’
এছাড়াও, ভারতে বর্তমানে কোভিড-১৯ ট্রেন্ড ঠিক আছে বলেই জানিয়েছেন এইমস প্রধান। তিনি বলেন, ‘যদি এই ট্রেন্ড বজায় থাকে, তাহলে সংক্রমণ কার্ভ সমান থাকবে। ফলে কয়েক দিন পর থেকে তা কমতে আরম্ভ করবে। যদিও কিছু করোনা হটস্পট থেকেই যাবে। আগামী ৫-৭ দিনের উপরেই সবটা নির্ভর করছে। তাই আগামী ১ সপ্তাহই বলে দেবে ভারতে করোনার ভবিষ্যৎ কী?’