করোনা মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গোটা দেশজুড়ে চলছে একটানা লকডাউন। প্রথমে ২১ দিনের লকডাউনের ঘোষণা করলেও বিভিন্ন রাজ্যের পরামর্শ মতো সেই লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পরিস্থিতিতে দিন আনি দিন খাই মানুষদের কথা চিন্তা করে রাজ্যের বাসিন্দা পরিয়ায়ী শ্রমিকরা ১০০ দিনের কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গয়, লকডাউনের কারণে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। কাজ হারিয়ে দুর্বিসহ অবস্থায় তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে গরীব মানুষের হাতে অর্থ পৌঁছে দিতে লকডাউনে ১০০ দিনের কাজকে ছাড়ের আওতায় রেখেছে কেন্দ্র। আগামী সোমবার থেকে শুরু হবে একশ দিনের কাজ। গত বুধবার কেন্দ্রীয় এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। যার ফলে। লকডাউন পরিস্থিতিতে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা চরমে পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যে আটক পরিয়ায়ীদের মধ্যে কাজের চাহিদা রয়েছে।
কিন্তু, পরিয়ায়ী শ্রমিকরা কী একশ দিনের কাজের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন? মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথায়, পরিয়ায়ী শ্রমিকদের কাজের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলো স্থির করবে। তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পে পরিয়ায়ীদের কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। নিয়ম অনুসারে, স্থানীয়রাই কাজ পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হন। তবুও আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি পঞ্চায়েতের উপরই ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু, এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে রাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। বড় সংখ্যক শ্রমিক মনরেগার কাজে যুক্ত হবেন। কাজ চালু করার জন্য ইতিমধ্যেই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মেনে শ্রমিকদের মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব মেনেই কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে জব কার্ডধারীর সংখ্যা ১.২৫ কোটি। এর মধ্যে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলায় ৮১ লাখ শ্রমিক ১০০ দিনের কাজে সক্রিয়। মনরেগায় উপকৃত প্রায় ৬১ লক্ষ পরিবার।