করোনা পরিস্থিতিতে পুরুলিয়ায় বাজারদর ঠিক আছে নাকি তা দেখতে শনিবার সাতসকালে পুরুলিয়ার বড় হাটে হাজির জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। শুক্রবারই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একগুচ্ছ নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মেনেই তারপরই এদিন সকালেই বড় হাটে যান জেলাশাসক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক মুফতি শামিম সওকত, মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী।
শুক্রবারই আচমকা জেলা প্রশাসনিক ভবনে যাওয়ার আগে শহরের রাজপথে নেমে যান তিনি। আমজনতাকে মুখে মাস্ক, রুমাল, কাপড় বাঁধতে বলেন। যাঁরা নিয়ম মানছেন না তাঁদের ধমক দিয়ে রীতিমত ‘শাসন’ করেন। মুখে মাস্ক না দেখে জেলাশাসকের প্রশ্ন, “কি হল? নাক-মুখ ঢাকা নেই কেন? মাস্ক, রুমাল কোথায়?” উত্তর আসে, “নেই স্যার!” জেলাশাসকের সটান জবাব, “তাহলে বাড়ি চলে যান।
বড় হাটে দাঁড়িয়েই আরেক পুর আধিকারিককে নির্দেশ দেন, মাছের বাজার আরও প্রসারিত করতে হবে। বিক্রেতাদের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়াতে হবে বলেও জানান। জেলাশাসকের কথায়, “করোনা নিয়ে এখনও সাধারণ মানুষ সচেতন নন। আরও বোঝাতে হবে। সেই জন্যই আমাদের এইভাবে পথে নামা। এই কাজ আমাদের চলবে।”
এদিন জেলাশাসকের আচমকা হাট পরিদর্শনের সময় শহরের লকডাউনের অবস্থা জানতে পুলিশ আকাশে ড্রোনও ওড়ায়। তবে এই বড় হাটের সবজি ও ফলের বাজার পুলিশ প্রসারিত করায় খুশি হন তিনি। অধিকাংশ সবজির দাম নাগালের মধ্যে থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।