গত মাসেই প্যারোলে ছাড়াকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দমদম সেন্ট্রাল জেল। কারাগারের ভিতরে রক্ষীদের সঙ্গে বন্দীদের সংঘর্ষ শুরু হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জেলের অন্দর। দফায় দফায় ইটবৃষ্টি চলে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় সুপারিন্টেড-সহ অন্য অফিসগুলোতে। সেই ঘটনার পর মাস ঘুরতেই এবার করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের আরও এক সংশোধানাগারে উত্তেজনা ছড়াল। করোনা আবহে মুক্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক মুক্তির দাবিতে এদিন সোচ্চার হন জেলবন্দীরা। জেল পুলিশের আবাসন লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে নামানো হয়েছে র্যাফ।
সুত্রের খবর, জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। আবাসিকের সংখ্যা ১২০০ এর বেশি। এর মধ্যে ৬০-৭০ জন বিচারাধীন বন্দি শনিবার সকাল থেকে জেল পুলিশের আবাসন লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়া শুরু করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে চিফ ডিসিপ্লিন অফিসার অসীম আচার্য জানিয়েছেন, ‘জামিনে মুক্তি দিতে হবে। এই দাবিতেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এর আগে বিচারাধীন ৯১ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অনেককে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আমরা সংশোধনাগারের মধ্যে ঢুকতে পারছি না। গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। সকাল থেকে অনেকবার বোঝানো হয়েছে ওদের। কিন্তু কেউ কথা শুনছে না।’