করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রকে দিশা দেখাতে আজ টুইট করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এর আগেও করোনা সংক্রমণ রোধে বারংবার কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন সোনিয়া পুত্র। তবে এবার বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার-সহ তথ্য বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রকে নয়া পন্থা খুঁজে বের করার পরামর্শ দিলেন তিনি।
করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রকে নয়া দিশা দেখাতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তুলে ধরেছিলেন একাধিক পরামর্শ। শনিবারও আরেকটি নতুন পথ দেখাতে টুইট করে তিনি জানান, ‘কোভিড ১৯ এর মত মহামারিকে দমন করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এটাই একটা সুযোগ, এটাই একটা ক্ষেত্র, যেখানে ভারতের একাধিক বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার ও তথ্য বিশেষজ্ঞদের ব্যবহার করা যাবে। তাঁদের কাজে লাগিয়েই এই সঙ্কটকালে উদ্ভাবন করা যাবে করোনা মোকাবিলার নয়া সমাধান।’
বৃহস্পতিবারও সাংবাদিক সম্মেলন করে করোনা রোধে প্রধানমন্ত্রীকে রকমারি উপায় বাতলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সংক্রমণ রোধে প্রতিটি রাজ্যে প্রয়োজন অধিক মাত্রায় করোনা পরীক্ষা করা। ফলে প্রতিটি রাজ্য কতজন এই রোগের কবলে রয়েছে তার একটি লক্ষ্যমাত্রা পাওয়া সম্ভব হবে। তাই বৃহস্পতিবারই কংগ্রেস নেতা ভিডিও কনফারেন্সে জানান, ‘এই মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করার বড় অস্ত্রই হল প্রচুর পরিমাণে করোনার পরীক্ষা। প্রতি এক লক্ষ ভারতীয়ের মধ্যে যতজনের পরীক্ষা করা উচিত তা করা হচ্ছে না। এমনকি যেই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। আমরা এখন এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যেখানে সংক্রমণ রোধ করতে গেলে প্রয়োজন র্যাপিড টেস্টের। আর সেই পরীক্ষাও করতে হবে সর্বাধিক পরিমাণে। পরীক্ষার পরিমাণ বৃদ্ধি না করলে সংক্রমিত ব্যক্তিরা চিহ্নিত হবেন না। ফলে ভবিষ্যতে ভারতকে পুনরায় লকডাউনের পথেই হাঁটতে হতে পারে।’
সরকারের সঙ্গে সহমত হয়ে তিনি কাজ করতে চান কিনা জানতে চাইলে কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘এখন একে অপরের দোষ খুঁজে বের করা বা রাজনীতি করার সময় নয়। এখন সরকারের দোষ না ধরে সরকারকে গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চাই। আমি অনেকক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত হতে পারিনা। কিন্তু এটা লড়াই করার সময় নয়। এখন আমাদের একসঙ্গে লড়তে হবে এই মারণ রোগের বিরুদ্ধে। তবে আমার পরামর্শ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সফল হলে তাঁর কৃতিত্বও আমি নিতে চাই না।’ তবে এখন দেখার রোগের মোকাবিলায় রাহুল গান্ধীর দেওয়া পরামর্শ নিতে গেরুয়া শিবির কতটা আগ্রহ প্রকাশ করে। নাকি প্রতিবারের মত এখানের রাজনীতির বাছ-বিচার শুরু হবে।