কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই মন্ত্রীদের বেতনের একটা অংশ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতনও কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এপ্রিল মাসেই একদিনের বেতন কাটা হবে। মে মাসে যে বেতন কর্মীরা হাতে পান তা থেকেই কাটা হবে টাকা। এর পাশাপাশি আগামী এক বছর প্রতি মাসে একদিনের বেতন কাটার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। একই সঙ্গে আপাতত বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা না মেলার সম্ভাবনাও রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ যে, ইতিমধ্যেই রাজস্ব বিভাগে একটি কেন্দ্রীয় সরকারের সার্কুলার এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, সরকার ঠিক করেছে, অফিসার ও কর্মীদের কাছে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে একদিনের বেতন প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হবে। ওই সার্কুলারে এও বলা হয়েছে, কোনও অফিসার বা কর্মীর যদি এতে অমত থাকে তিনি সেই আপত্তির কথা জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিজের এমপ্লয়ি কোড উল্লেখ করে রাজস্ব দফতরকে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে জানাতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদন, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যে সব বিভাগ সামনে থেকে লড়াই করছে সেগুলি বাদে অন্য সব দফতরের কর্মীরাই এই এক বছর মাসে মাসে একদিনের বেতন প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দিন।
শুধু একদিনের বেতনই নয়, আপাতত বর্ধিত ডিএ থেকেও বঞ্চিত হতে পারেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। গত ১৩ মার্চ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৪ শতাংশ ডিএ এবং পেনশনারদের জন্য ৪ শতাংশ ডিয়ারনেস রিলিফ (ডিআর) বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকেই যা কার্যকর হওয়ার কথা। এই বর্ধিত ডিএ ও ডিআর এখনই নাও দেওয়া হতে পারে।
লকডাউনের জেরে দেশের আর্থিক কার্যকলাপ বন্ধ। এদিকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। শুধু স্বাস্থ্য খাতেই নয়, দেশের সব মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়াও এখন দেশের কাছে বড় দায়িত্ব। লকডাউন ওঠার পরে বহু মানুষের কাজ হারানোর আশঙ্কাও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতনের একটা অংশ কোষাগারে ভরতে চাইছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, এই সময়ে যে বেতন কাটা হবে তা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিতে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে জমা হবে।