কথায় আছে ঘড়ির কাঁটা উল্টো ঘোরে। ঘড়ির কাঁটা যে কখনো কখনো থেমেও যায় তার প্রমাণ দিল এই মহামারি। সারা বিশ্বের সময় যেন থেমে গেছে। চারদিকে শুধু হাহাকার আর মৃত্যুর শোক। এই ভাইরাসকে হারানোর কোনো ভ্যাকসিন না থাকায় করোনা মোকাবিলায় হাতিয়ার শুধু মাত্র অন্য রোগের কিছু ওষুধ, সচেতনতা ও এক হয়ে প্রার্থনা। এই দুঃসময়ে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের বার্তা দিতে অনন্য উদ্যোগ নিল সুইজারল্যান্ড। সেদেশের ম্যাটারহর্ন পর্বতের শৃঙ্গে আলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হল নানা দেশের জাতীয় পতাকা, যার মধ্যে ছিল ভারতের তেরঙ্গাও।
পাহাড়ের চূড়াকে আলোয় আলোকিত করার মতো কঠিন কাজটি করেছেন সেদেশের বিখ্যাত আলোকশিল্পী গ্যারি হফস্টেটার। তিনি জানান, ‘আলো হল আশার প্রতীক। এই মহামারীর সময়ে আলো দিয়ে কোনও বার্তা দেওয়া মানে আশা প্রদান করা, বিশেষ করে তা যদি দৃঢ় পর্বত শৃঙ্গের গায়ে হয়।মানব সভ্যতার থেকেও অনেক প্রাচীন এই পর্বত। ইতিহাস যদি দেখা হয়, তাহলে দেখা যাবে মানুষ যখনই এরম মহামারীর শিকার হয়েছে, তখন শিল্পই সকলকে এক সুতোয় বাঁধতে পেরেছে।’
শৃঙ্গটির উচ্চতা প্রায় ১৪,৭০০ ফুট। ইতালি ও সুইজারল্যান্ডের সীমানায় শুক্রবার রাতে বরফাবৃত শৃঙ্গে জ্বলে ওঠে ভারতের জাতীয় পতাকা। শৃঙ্গের গায়ে ভারতের জাতীয় পতাকার চিত্রটি ছিল প্রায় ৮০০ মিটার উঁচু। সেই ছবি ট্যুইট করেন ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস অফিসার গুরলিন কৌর। তিনি লেখেন, ‘হিমালয় থেকে আল্পস পর্যন্ত বন্ধুত্ব। ধন্যবাদ।’