লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই দেশে শোরগোল ফেলেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা বর্তমান কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এবার তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর করোনাভাইরাস ইস্যুতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। তিনি বললেন, মোদীর নিজস্ব কিছু স্টাইল রয়েছে, এখন তা নিয়েই কাজ করতে হবে, কারণ এখন বিরোধিতার সময় নয়। এই প্রেক্ষিতেই রাহুল বলেন, অসন্তোষ থাকলেও এখন তিনি কোনওরকম বিরোধিতায় যাবেন না।
এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, তাঁর মনে হয় রাজ্যগুলিকে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীর উচিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আরও গভীরভাবে আলোচনা করা। কিন্তু মোদীর একটা অন্য স্টাইল আছে কাজ করার, এখন সেই মতো কাজ করতে হবে আমাদের। তবে তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের এখন উচিত সার্বিকভাবে সব জায়গা পর্যালোচনা করা, এবং রাজ্যের উচিত তাদের নিজস্ব এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো। এই প্রেক্ষিতেই রাহুল বলেন, তিনি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বহু ইস্যুতেই দ্বিমত প্রকাশ করেন এবং অসন্তুষ্ট, কিন্তু এখন তিনি কোনও বিরোধিতায় যাবেন না। কারণ, এই সময়টা বিরোধিতার নয়, একসঙ্গে কাজ করার।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই লকডাউন নিয়ে রাহুলের মন্তব্য সমলোচিত হচ্ছে। এদিন তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, লকডাউন কখনই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে রুখে দিতে পারবে না। এটা একটা ‘পজ’ বোতামের কাজ করছে। সরকারের এখন উচিত আরও কৌশলীভাবে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো। নাহলে করোনার সংক্রমণের গোড়ায় পৌঁছনো যাবে না। এবং এর সংক্রমণও আটকানো কঠিন হয়ে পড়বে। একটি ভিডিও কনফারেন্সর মাধ্যমে সাংবাদিক বৈঠকে করোনার বিরুদ্ধে লড়তে একাধিক উপদেশ দেন তিনি। রাহুল বলেন, ‘লকডাউন কখনই করোনাভাইরাসকে শেষ করতে পারবে না। এটা কিছুক্ষণের জন্য থেমে থাকতে সাহায্য করছে। সরকারকে আমার পরামর্শ, এই অবস্থায় পরিকল্পনামাফিক টেস্টিং বিপুল পরিমাণে করা হোক। খাদ্যসংকটের কথা উল্লেখ করে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘সরকারের উচিত খাবারের স্টক খোলা রেখে গরিবদের কাছে তা বিলিয়ে দেওয়া।’