সরকারের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে, করোনা নিয়ে কোনওরকম ভুয়ো তথ্য অথবা গুজব ছড়ানো যাবে না। তাহলেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। কিন্তু তবুও করোনা সম্পর্কিত একাধিক বিভ্রান্তিমূলক খবর নেটদুনিয়ায় ছড়াচ্ছে হামেশাই। পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে সময়মতো পদক্ষেপও নিচ্ছে। গতকালই ফেসবুকে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আসানসোলের বিজেপির আইটি সেলের নেতা কৌশিক চক্রবর্তীকে।
আর এবার করোনা পরিস্থিতিতিতে আতঙ্ক ছড়ানোর পাশাপাশি গুজব সৃষ্টির অভিযোগে এফআইআর দায়ের হল বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে। গতকাল রাতে বাঁকুড়া সদর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেন বাঁকুড়ার যুগীপাড়ার জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়। তিনি আবার শাসকদলের জেলা নেতা। জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় বাঁকুড়া সদর থানায় বিজেপি সাংসদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী তৃণমূল নেতা জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার নিজে একজন চিকিৎসক হয়েও বিশ্ব মহামারির সময়ে জেনেবুঝে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়ানো ও ‘জনশৃঙ্খলা’ ভঙ্গের চেষ্টা করছেন। বাংলার মানুষ হাতে হাত রেখে ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন, তখন উনি ‘ঘোলা জলে মাছ’ ধরার চেষ্টা করছেন। আতঙ্ক-সহ গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ জানাতেই এই আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেই তিনি দাবি করেন।
সাংসদ সুভাষ সরকার অবশ্য ফেসবুকে করা তাঁর মন্তব্যের কোনও রকম ভুল দেখছেন না। এ বিষয়ে তিনি একই কথা জেলাশাসককেও জানিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। তার দাবি, বিভ্রান্ত সৃষ্টি তিনি করছেন না। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে রাজ্য সরকার এবং জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তিনি সেই বিভ্রান্তি নিষ্পত্তি করতে চেয়েছেন। যাতে বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলার মানুষ এই করোনা আতঙ্কের থেকে মুক্তি পায়। বিভ্রান্ত সৃষ্টি না হয়, ভুল না বোঝেন। সেই কারণেই তাঁর এই মন্তব্য।