দেশের ভাইরাস পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তার কথা মাথায় রেখেই দ্বিতীয় পর্যায়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৪ এপ্রিল জেলার ডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল তা বাড়িয়ে ৩ মে করা হয়েছে। আর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এও জানিয়েছেন, এবার লকডাউন আইন আরো কড়া ভাবে পালন করতে হবে সাধারণ মানুষকে। সেই প্রেক্ষিতেই এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানালেন, আগামী দু-তিন সপ্তাহ ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের ১৭০ টি জেলাকে যে করোনা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তা আগেই জানিয়েছে সরকার। বুধবার সরকারিভাবে নাম সহ প্রকাশ করা হল সেই তালিকা। এদিন কেন্দ্রের তরফে সব রাজ্যের মুখ্য সচিবদের লেখা চিঠিতে জানানো হয়েছে, করোনার ভিত্তিতে দেশের জেলা গুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছে সরকার। যেখানে রয়েছে হটস্পট, নন হটস্পট ও অসংক্রামিত জেলা। হটস্পটকে আবার ভাগ করা হয়েছে দুটি ভাগে। তা হল লার্জ আউটব্রেক অর্থাৎ যেখানে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। এবং দ্বিতীয়টি হল ক্লাস্টার আউটব্রেক। অর্থাৎ এখানে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, করোনা অতিমারি রুখতে আরও ১৯ দিন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই দুই থেকে তিন সপ্তাহ ভারতের পরিস্থিতির জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টুকু সঠিকভাবে লকডাউন পালন করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথে আসবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সরকার বহু আগে থেকে তৎপরতা নেওয়ায় এই মুহূর্তে দেশের সংক্রমণ হার যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে লকডাউন আরও কড়া ভাবে মানতে হবে সকলকে।