করোনাভাইরাসের মধ্যেও ধর্ম খুঁজে পেয়েছেন এদেশের অনেকে। তাইতো গুজরাতের এক হাসপাতালে হিন্দু এবং মুসলিম করোনা রোগীদের জন্য আলাদা আলাদা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে! এই খবর সামনে আসার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি ডাক্তারের বক্তব্য শুনে অবাক হয়েছে মানুষ। কারণ ওই হাসপাতালের এক ডাক্তারের কথা অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের।
জানা গিয়েছে, আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে হিন্দু-মুসলিম করোনা রোগীদের জন্য দুটি ভিন্ন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ১,২০০ বেড রয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে এইভাবে ওয়ার্ড ভাগ করার বিষয়কে নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্যে। হাসপাতালের ডাক্তারের কথা অনুযায়ী, মূলত সরকারি সিদ্ধান্তেই এই আলাদা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। যদিও রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী নীতীন প্যাটেল সম্পূর্ণ বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন।
মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, আলাদা ওয়ার্ড তৈরি করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। হাসপাতালে মূলত মহিলা এবং পুরুষদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড থাকে। তবে এক্ষেত্রে কি হয়েছে তা তাঁর জানা নেই। এই বিষয়ে তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, হাসপাতালের এক রোগীর বক্তব্য, রবিবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে ২৮ জনকে অন্য একটি ওয়ার্ডে সরিয়ে দেওয়া হয়। বাকিদের রাখা হয় অন্য একটি ওয়ার্ডে। পরে প্রশ্ন করা হলে কর্মীদের তরফে জানানো হয়, দুটি ধর্মের মানুষদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।