মঙ্গলবার দ্বিতীয়বার লকডাউন বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইদিনই আবার একযোগে রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা নিশানায় নিলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। ভারতে যথেষ্ট পরিমাণ টেস্টিং কিট না থাকার কারণ হিসেবে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। যখন সময় ছিল তখন করোনা টেস্টিং কিট কিনে নিলে আজ এই দিন দেখতে হয় না বলে জানিয়েছেন রাহুল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবল লকডাউন করলেই করোনা থেকে মুক্তি মিলবে না। লকডাউনের পাশাপাশি দ্রুতগতিতে টেস্ট করে যেতে হবে। দেখা গিয়েছে, যে দেশে টেস্ট যত বেশি পরিমাণে করা হয়েছে, তত বেশি রোগী ধরা পড়েছে। তত বেশি মানুষকে কোয়ারেন্টাইন করে এই রোগের সংক্রমণ আটকানো গিয়েছে। এদিন নিজের টুইটারে রাহুল লেখেন, ‘টেস্টিং কিট কেনার সময়ই ভারত পিছিয়ে ছিল। এখন দেশে সাংঘাতিকভাবে এর অভাব বোধ হচ্ছে। প্রতি ১০ লক্ষ ভারতে মাত্র ১৪৯ জনের টেস্ট হচ্ছে৷ আমরা এখন লাওস (১৫৭), নাইজের (১৮২) ও হন্ডুরাস (১৬২) এর মতো দেশগুলির পরে রয়েছি৷ করোনা ভাইরাস ঠেকানোর একটাই উপায়, প্রচুর টেস্ট করা৷ কিন্তু এই মুহূর্তে ওই পদ্ধতির ধারেকাছেও নেই আমরা৷’
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২১১ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যা এতদিনের মধ্যে সর্বাধিক। এই একই সময়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা ৩৩৯ ছুঁয়ে ফেলেছে। গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ছুঁয়ে ফেলেছে। এই অবস্থায় ঝাঁকে ঝাঁকে পরীক্ষা করাই একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন রাহুল। কিন্তু সেই পরীক্ষার সরঞ্জামই নেই। খেদ তাঁর।
রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এদিন টুইটে একহাত নেন সরকারকে। তিনি লেখেন, ‘আমি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে টেস্টিং বাড়ানোর জন্য আর্জি জানিয়েছিলাম৷ উত্তরপ্রদেশে করোনায় মৃতদের ৫ জনেরই মৃত্যুর পর টেস্ট রিপোর্টে করোনা পজিটিভ দেখা গিয়েছে৷ টেস্টিংয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে৷ টেস্টিং বাড়ান৷ যত বেশি টেস্ট হবে, ততই চিত্রটা পরিষ্কার হবে৷’