সোমবার মাসিক রিপোর্ট পেশ করল গাড়ি নির্মাতাদের সংগঠন সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (সিয়াম)। তাতে বলা হয়েছে, গত মাসে ভারতে যাত্রীবাহী গাড়ির বিক্রি কমেছে ৫১ শতাংশ। মার্চে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি হয়েছে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৪ টি। এক বছর আগে মার্চে বিক্রি হওয়া যাত্রীবাহী গাড়ির সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৯১ হাজার ৮৬১ টি। করোনাভাইরাস অতিমহামারীর আগেই দেশে গাড়ির বিক্রি কমছিল। এরপরে লকডাউনের ফলে ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে গাড়ি শিল্প।
মার্চে সিয়ামের পক্ষ থেকে পেশ করা রিপোর্টে জানা যায়, ফেব্রুয়ারিতে দেশে যাত্রীবাহী গাড়ির বিক্রি কমেছিল ৭.৬১ শতাংশ। চিনে করোনাভাইরাস অতিমহামারী দেখা যাওয়ার পরেই ভারতে গাড়ি শিল্পের সংকট শুরু হয়। সিয়াম জানিয়েছিল, এদেশে যত গাড়ি তৈরি হয়, তার ১০ শতাংশ যন্ত্রপাতি আসে চিন থেকে। অতিমহামারীর জন্য চীন থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৪ মার্চ থেকে দেশে শুরু হয়েছে লকডাউন। থমকে গিয়েছে দেশের অর্থনীতি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের আশঙ্কা, এর ফলে বেশ কয়েকটি কোম্পানি দেউলিয়া হতে পারে। তা যাতে না হয়, সেজন্য একটি বিশেষ অর্ডিন্যান্স আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে লকডাউনের আগেই যে কোম্পানিগুলিকে দেউলিয়া ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছিল, তাদের ক্ষেত্রে এই অর্ডিন্যান্স কার্যকরী হবে না।
একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ইনসলভেন্সি ও ব্যানক্রাপসি কোডে একটি নতুন ধারা যুক্ত করা হবে। তাতে কোনও কোম্পানিকে দেউলিয়া ঘোষণা করার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হবে ছ’মাস। বিশ্ব জোড়া অতিমহামারীর গতিপ্রকৃতি খতিয়ে দেখে আগামী দিনে এই ছাড়ের সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে।
দীর্ঘ লকডাউনের ফলে বহু কোম্পানি চুক্তিমতো কাজ করতে পারবে না। অনেক কোম্পানি সময়মতো পাওনা মেটাতে পারবে না। আগে এই কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু করোনা সংকটের কথা মাথায় রেখে তাদের কিছু ছাড় দেওয়া হবে।