দেশজোড়া লকডাউনের মধ্যেই উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, ভারতের এক শতাংশেরও কম করোনা যোদ্ধার কাছে পিপিই মাস্ক পৌঁছেছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটা নথিতে এমন পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে মোট ৭০ লক্ষ করোনা যোদ্ধা সক্রিয়। চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে এই সংখ্যার মাত্র ৫৫ হাজার কর্মী পিপিই গিয়ার ব্যবহার করছেন। অর্থাৎ ১ শতাংশেরও কম।
পাশাপাশি কেন্দ্র এযাবৎকাল প্রায় এক কোটি এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের বরাত দিয়েছে একাধিক সংস্থাকে। কিন্তু মাত্র ২১ লক্ষ মাস্ক হাতে পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছে সেই নথিতে। পিপিই ও এন-৯৫ মাস্ক মজুতের দায়িত্বে রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত এইচএলএল লাইফ কেয়ার লিমিটেড। তাই কালোবাজারি ও মজুতদারি রুখতে এই মর্মে দেশের প্রত্যেকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকাগুলিকে অবগত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় কেন্দ্রগুলোকে স্পষ্ট করা হয়েছে, কাউকে পৃথক করে মাস্ক আর পিপিই কিট কিনতে হবে না। কেন্দ্রীয় ভাবে এই সামগ্রী মজুত করা হবে। প্রয়োজন মতো রাজ্যগুলোকে সরবরাহ করা হবে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের পর্যালোচনা বৈঠকেও পিপিই কিটের আকালের অভিযোগ তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭০ লক্ষ কিট আর এক কোটি মাস্ক সরবরাহের বরাত একাধিক দেশীয় সংস্থাকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যে ৩৯টি সংস্থার কাছে কিট সরবরাহের বরাত গিয়েছে, তাদের মধ্যে মাত্র ৮টি সংস্থা সরবরাহ শুরু করেছে। এমনটাই উল্লেখ করা আছে সরকারি সেই নথিতে। বাকি ৩১টি সংস্থা পিছিয়ে কেন? এই প্রশ্ন তাদের করা হলে, যুক্তি পাওয়া গিয়েছে যে, লকডাউনের জেরে জারি একাধিক বিধিনিষেধের ফলে ব্যাহত হয়েছে সেই দ্রব্যের সরবরাহ।