লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পরিবহণ। যার ফলে মাইলের পর মাইল পথ হেঁটে বাড়ি ফিরছেন দেশের হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। আর এতেই আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। করোনা ছড়াতে পারেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে বিভিন্ন রাজনীতিবিদরা বেশ কয়েকদিন ধরে সরব। এবার এই প্রসঙ্গে সতর্ক করল বিশ্ব ব্যাঙ্কও।
রবিবার বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে আশঙ্কা করা হয়েছে, লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বিভিন্ন রাজ্য থেকে ঘরে ফিরেছেন। তাঁরা নিজেদের শরীরে মারণ জীবাণু বহন করতে পারেন বলে বিশ্ব ব্যাঙ্কের বিশেষজ্ঞদের মত। ভারতের যে যে এলাকায় করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে সেই পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে এমনই আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
এদিন, আঞ্চলিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সেখানে ঘন জনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ শহরতলিতে করোনা সংক্রমণ রোধ করা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বসতির বাসিন্দা এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে পরিস্থিতি খারাপ হওয়া শুরু হতেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়। অন্তর্দেশীয় পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতেই ভিনরাজ্যে কর্মরত লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরের ফিরতে শুরু করেন। যা নিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের আশ্বাস সত্ত্বেও খাদ্য সঙ্কটের ভয়ে নিজেদের ঘরে পাড়ি দিতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে বলে মত বিশ্ব ব্যাঙ্কের।