জীবন ও স্বাধীনতা পাশাপাশি চলে, এটাই সাংবিধানিক গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরকে এমনভাবে নিরাপত্তা ঘেরাটোপে মোড়া হচ্ছে যাতে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেই গত বছর ২১ আগস্ট পদত্যাগ করেছিলেন আইএএস অফিসার কান্নান গোপীনাথন। তারপর থেকে গত ৭ মাসের মধ্যে একাধিক সভা-সমাবেশে প্রকাশ্যে কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতা করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে একনায়ক বলে তোপও দেগেছেন। এবার করোনা আবহে সেই বিদ্রোহী আইএএস গোপীনাথনেরই দ্বারস্থ হল কেন্দ্র। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ‘দ্রুত কাজে ফেরার’ নির্দেশ দেওয়া হল তাঁকে। কেন্দ্রের যুক্তি, গোপীনাথন পদত্যাগ করেছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়নি। আর ইস্তফাপত্র গৃহীত না হওয়া অবধি সরকারি কর্মীরা তাঁদের কর্তব্য থেকে অব্যাহতি পান না।
প্রসঙ্গত, সাত বছরের কেরিয়ারে একাধিক কাজের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন গোপীনাথন। কেরালের বন্যার সময় তাঁর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। বিপুল লোকসানে চলা দাদরা নগর হাভেলির বিদ্যুৎ দফতর তাঁর প্রশাসনিক ক্ষমতার বলেই লাভজনক সংস্থায় পরিণত হয়। কিন্তু তাঁর এই ঝকঝকে কেরিয়ারে ইতি পড়ে গত বছর। কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রকে তোপ দেগে পদ ছাড়েন তিনি। কিন্তু ৭ মাস পর সেই গোপীনাথনকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মীর দায়িত্ব মহামারি রুখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা। আপনাকে আপনার কর্তব্য পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এখনও আপনি ডিউটিতে যোগ দেননি। তবে গোপীনাথনের অভিযোগ, সরকার কোনও সৎ উদ্দেশ্যে তাঁকে ফের ডিউটি যোগ দিতে বলেনি। বরং তাঁকে হেনস্তা করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।