শনিবার লক ডাউন বাড়ানো হবে কিনা সেই নিয়ে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার আগে মুখ্যমন্ত্রীদের পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। গরিবদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের কেন্দ্রের কাছে টাকা চাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘আমি অমরিন্দর সিং, অশোক গেহলট, ভুপেশ বাঘেল, ভি নারায়ণস্বামী, উদ্ধভ ঠাকরে, ই পালানিস্বামীকে অনুরোধ করবো ওনারা যাতে প্রধানমন্ত্রীকে বলেন যে প্রাণ বাঁচানোর সঙ্গে সঙ্গে জীবিকা রক্ষাও জরুরি। শেষ ১৮ দিনে অনেক গরিব মানুষ তাদের কাজ হারিয়েছেন। যেটুকু সঞ্চয় তাদের ছিল সেটাও শেষ। এখন তারা বিনামূল্যে খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে। রাষ্ট্র কি তাদের ক্ষুধার্ত দেখতে পারে? এই সব মানুষদের জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন করুন।’
উল্লেখ্য, ১৪ এপ্রিল শেষ হচ্ছে ২১ দিনের লক ডাউনের সময়সীমা। যদিও ইতিমধ্যেই উড়িষ্যা জানিয়ে দিয়েছে সেই রাজ্যে লকডাউন চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। একই ভাবে সারা ভারতেই কি বাড়ানো হবে লক ডাউনের মেয়াদ? এই নিয়ে আজ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন মোদী। তারপর লক ডাউন নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা পুনরায় একটি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণেই হয়তো জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, হয়তো লক ডাউন বাড়ানো হবে। তবে কিছু ছাড় দেওয়া হতে চলেছে এইবার। তবে আন্তঃরাজ্য পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকবে (অত্যাবশ্যক জিনিস ছাড়া), বন্ধ থাকবে স্কুল, কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। টানা ২১ দিন লক ডাউনের ফলে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে, অবশ্যই শর্তসাপেক্ষে। করোনা ভাইরাসের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রে। ফলে এবার ধীরে ধীরে বিমান পরিষেবায় ছাড় দেওয়া শুরু হবে।