করোনার ক্ষেত্রে গোষ্ঠী সংক্রমণ যে কী ভয়াবহ আকার নিতে পারে দিল্লীর নিজামুদ্দিন কাণ্ডই তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। তাই বাংলায় গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে আগেভাগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন জায়গা বা যে সমস্ত এলাকাগুলিতে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, সেই সমস্ত এলাকাগুলি ‘হটস্পট’ হিসাবে চিহ্নিত করে ‘কমপ্লিট লকডাউন’ বা ‘সিল’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। মোট ১৩টি এলাকাকে ‘হটস্পট’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই এলাকাগুলি হল, কলকাতার আলিপুর, পণ্ডিতিয়া রোড, মুদিয়ালি, ভবানীপুর, বড়বাজার। নয়াবাদ, উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়া, দমদমের কিছুটা অংশ, হাওড়ার শিবপুর, নদীয়ার তেহট্ট, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, হলদিয়া, গোটা কালিম্পং।
হটস্পট–এর আওতায় থাকা এলাকাগুলিতে আদর্শ আচরণ বিধি কী হবে? তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। বলা হয়েছে- ১) হটস্পটের আওতায় থাকা এলাকা এবং তার বাইরের ‘বাফার জোন’ আপৎকালীন প্রয়োজন ছাড়া যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ। ২) নির্দিষ্ট ছাড়পত্র বা কাগজ ছাড়া ওই এলাকাগুলি থেকে কেউ বাইরে বেরোতে বা ঢুকতে পারবে না। ৩) এলাকার সমস্ত নাগরিকদের সোয়াব নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এলাকাগুলিতে রক্ত পরীক্ষার পরিমাণ বাড়াতে হবে। ৪) মৃদু উপসর্গ দেখা দিলেও তাকে রাখা হবে স্থানীয় কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। সাধারণ বা বেশি আক্রান্তদের করোনা হাসপাতালে চিকিৎসা হবে।