লকডাউনের রাস্তায় দেখা মিলবে ট্যাক্সির। নীল-সাদা ট্যাক্সি দেখা যাবে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। গতিধারা প্রকল্পে যে সমস্ত ট্যাক্সি রাস্তায় নেমেছিল তাদের থেকে বাছাই করে রাস্তায় গড়াবে ট্যাক্সির চাকা। ইতিমধ্যে রাজ্য পরিবহন দফতর যোগাযোগ করেছে বিভিন্ন ট্যাক্সি সংগঠনের সাথে। দফতর সূত্রে খবর, তৈরি হচ্ছে ডেটাবেস।
ডেটাবেস তৈরি করা হয়ে যাবে শনিবারের মধ্যেই। সেই অনুযায়ী লোকেশন বাছাই করে তবে ট্যাক্সি রাখা হবে।” অন্যদিকে শহরের অন্যতম ট্যাক্সি সংগঠন বিটিএ। তাদের সম্পাদক বিমল গুহ জানান, “শুধু নীল-সাদা ট্যাক্সি কেন, হলুদ ট্যাক্সিও চালানো যেতে পারে। শহরের ৫ জায়গা গড়িয়া, গড়িয়াহাট, বেলেঘাটা, এসপ্ল্যানেড, চিংড়িঘাটা, শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে স্ট্যান্ড তৈরি করা হোক। কাছাকাছি জায়গা থেকে ফোন করুক যাত্রী। একটা ফোন লাইন চালু করে দেওয়া হোক। আমাদের চালকরা ট্যাক্সি নিয়ে সেখানে পৌছে যাবে।”
অন লাইন ক্যাব অপারেটরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল ব্যানার্জি জানান, “সরকার আমাদের থেকে ৩০০ ট্যাক্সির তালিকা চেয়েছে। আমরা গাড়ির নাম্বার। মালিক ও চালকের নাম্বার, বাড়ি ও গ্যারেজ কোথায় তা সব তালিকা করে জমা দিচ্ছি।”
১৪ এপ্রিলের পর লকডাউন স্থায়ী হলে জরুরি পরিষেবার কাজে ব্যবহার হবে এই সব ট্যাক্সি। বৃহস্পতিবার জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ট্যাক্সিকে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। দোকান বাজারে পণ্য পৌছে দেওয়া, হাসপাতাল বা চিকিৎসকদের কাছে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ট্যাক্সি। এমনকি বাড়িতে পণ্য পৌছে দিতেও এই ট্যাক্সি পাওয়া যাবে। তার জন্য স্ট্যান্ড তৈরি করছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে শহরের বিভিন্ন যে থানা বা ট্রাফিক গাড আছে সেখানেই থাকবে ট্যাক্সি। ৩০ টি জায়গা বাছাই করা হচ্ছে। যেখানে গড়ে ১০টি করে ট্যাক্সি রাখা থাকবে।