লক ডাউনের জেরে এবার সম্ভবত আই লিগ বাতিল করার পথেই এগোতে চলেছে এআইএফএফ। যদিও ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এখনও অবধি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে ঘটনার মোড় যেদিকে যাচ্ছে তাতে লিগ বাতিল করা ছাড়া আপাতত কোনও উপায় দেখছেন না ফেডারেশন কর্তারা। যেহেতু ১৪ এপ্রিলের পরও লক ডাউন বাড়ার সম্ভাবনা আছে, সেহেতু চলতি মাসেও সারা দেশ মোটেই স্বাভাবিক হচ্ছে না। এমনকী মে-তে হওয়ার সম্ভাবনাও কম। তাই আই লিগ চালিয়ে যাওয়ার কোনো মানে নেই বলেই মনে করছে এআইএফএফ।
এমনিতেই ক্লাবগুলো জানিয়ে দিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুক ফেডারেশন। নাহলে তাঁদের পক্ষে আর দল ধরে রাখা সম্ভব নয়। তাই ফেডারেশন ঠিক করেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে। আসলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লক ডাউন চলছে। ভারতীয় ফুটবল কর্তারা ভেবেছিলেন, লক ডাউন নিশ্চয় তারপর উঠে যাবে। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই ছিল বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু লক ডাউন আরও বাড়ছে ধরে নিয়েই ফেডারেশন ঠিক করেছে, আর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হবে না।
আসলে লক ডাউন উঠলেই যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তা-ও নয়। একটা দলকে প্রস্তুতির জন্য সময় দিতে হবে। তারপর ম্যাচ খেলা আছে। ফ্লাইট, ট্রেন স্বাভাবিক কবে হবে কেউ জানে না। তাই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত বলছিলেন, ‘আমরা ঠিক করেছি, লক ডাউনের দিন যদি ১৪ এপ্রিলের পর ফের বেড়ে যায় তাহলে আমরা শীঘ্রই ভিডিও কনফারেন্সে বসব। তখন ঠিক করা হবে, আদৌ লিগ চালু করা সম্ভব কিনা। তবে যাই হোক না কেন, আমরা খুব শীঘ্রই আই লিগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব।’
আসলে আই লিগ নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ফেডারেশনের খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যেহেতু মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে, তাই যতই খেলা বাকি থাকুক না কেন, এই খেলার উপর আলাদা করে আর চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ভর করবে না। তাই আই লিগের প্রথম ডিভিশন নিয়ে ফেডারেশন নিশ্চিন্ত। তবে নিচের দিকের দলগুলোকে সম্ভবত প্রাইজ মানি সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। এবার ফেডারেশন কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে ভারতীয় ফুটবল মহল।