এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বজুড়ে হাহাকার সৃষ্টি করেছে। মৃত্যু মিছিল দিন দিন বাড়ছে। এই দুঃসময়েও যারা আমাদের স্বার্থে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, দিন রাত এক করছেন, তারা ডাক্তার ও নার্স। তারপরও প্রতিবেশীর হাতে হেনস্তার শিকার দিল্লীর সফদরজং হাসপাতালের দুই মহিলা চিকিৎসক। অল্পবিস্তর মারধরও করা হয় তাঁদের। সামান্য চোটও পেয়েছেন দু’জনে। স্থানীয়দের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।
মহিলা চিকিৎসকেরা বলেন, “বুধবার সন্ধেয় দিল্লীর গৌতম নগরের বাজারে ফল কিনতে গিয়েছিলাম। বাড়ির বাইরে পা রাখা মাত্রই একজন ব্যক্তি আমাদের দেখে চিৎকার শুরু করল। সকলকে আমাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সাবধান করতে শুরু করে। আমরা অবাক হয়ে যাই। ওই ব্যক্তি বলতে শুরু করেন আমরা করোনা ভাইরাস ছড়াতে এসেছি। আমরা প্রথমে চুপ করেছিলাম। পরে প্রতিবাদ করতে শুরু করি। যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেই রাস্তায় বেরিয়েছি বলেই জানাই।তবে আমাদের কথা কেউ শোনেননি। উল্টে আমাদের মারধর করা হয়”।
মহিলা চিকিৎসকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই ৪৪ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। সফদরজং হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ডঃ মণীশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, “ওই দুই মহিলা চিকিৎসক জরুরি বিভাগেই মূলত রোগীদের চিকিৎসা করেন। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মরণাপন্ন রোগীদের বাঁচিয়ে তোলার কাজ করে। তারপর তাঁদের উপর অত্যাচার সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না।”