ষষ্ঠবার টেস্ট করার পর তাঁর শরীরে নেগেটিভ এসেছে কোভিড-১৯। সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত হওয়ার পরই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন কণিকা কাপুর। আর তার মধ্যেই নতুন বিপদের মুখে পড়তে চলেছেন গায়িকা। বিদেশ থেকে ফিরে নোভেল করোনা-র উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও, তা লুকিয়ে একাধিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করার জন্য পুলিশি জেরার মুখে পড়তে চলেছেন কণিকা। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে বিদেশ থেকে ফিরলে টানা ১৪ দিন নিজের বাড়িতে একান্তে বিশ্রাম করতে হবে। এরই সঙ্গে যদি সাধারণ ফ্লু বা জ্বর, সর্দি কিংবা কাশি হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কিন্তু সবকিছু জেনেও বেপরোয়াভাবে ঘুরে বেড়ানোর জন্য কণিকা’র বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯ ও ২৭০ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। যদিও নোভেল করোনা ভাইরাস থেকে আপাতত নিস্তার পেয়েছেন ‘বেবি ডল’ খ্যাত এই গায়িকা। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে আগামী ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে গায়িকাকে। তাই এই কদিন তাঁকে কোনও ভাবেই জেরা করতে পারবেন না পুলিশের আধিকারিকেরা।
গত ৯ মার্চ লন্ডন থেকে মুম্বইতে ফেরেন কণিকা কাপুর। তারপরেই গত ১১ মার্চ তিনি মুম্বই থেকে আসেন লখনউতে। সেই সঙ্গে কানপুরে তাঁর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পর লখনউতে তিনটি জমকালো পার্টিতে হাজির হন। ১৮ মার্চ তাঁর শরীরে কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে, ২০ মার্চ ভর্তি করা হয় লখনউয়ের এক সরকারি হাসপাতালে। দীর্ঘ চিকিৎসার পর শেষ রক্ত পরীক্ষায় তাঁর শরীরে করোনা’র জীবাণু না পাওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যান গায়িকা।