রাজ্যের নির্দেশানুসারে সপ্তাহে সাড়ে পাঁচদিন খুলে রাখতে হচ্ছে রেশনের দোকান। আর সেই রেশন নিতে দোকানে ভিড় জমছে মানুষের। মানা হচ্ছে না সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স। এই ছবি বদলাতেই এবার নতুন পথে হাঁটা দিল কলকাতা পুলিশ। চালু হয়ে গেল সময় ধরে রেশন প্রদান।
ভিড় জমলেই মাথাচাড়া দিচ্ছে ভয়, সংক্রমণ না ছড়িয়ে পড়ে। যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রেশন নেওয়ার কথা বাস্তবে সেটাই মানছে না কলকাতাবাসী। লাইন করে, ভিড় জমিয়ে, একে অপরের গায়ে লেগে দাঁড়িয়ে পড়ছে সবাই রেশন দোকানের সামনে রেশনের সামগ্রী নিতে। সিভিক ভলেন্টিয়ার দিয়ে, পুলিশ নামিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। কার্যত কেউ কোনও কথা শুনতেই চাইছে না। সবারই তাড়া আছে, সবারই আগে বাড়িতে ঢুকে যাওয়ার প্রয়োজন আছে, সবাইকে তাড়াতাড়ি সামগ্রী দিয়ে দিতে হবে। এক এক সময় খোদ রেশন দোকানের মালিক থেকে কর্মচারীরও মাথার চুল ছেঁড়ার অবস্থা হচ্ছে। এই ছবি বদলাতেই এবার নতুন পথে হাঁটা দিল কলকাতা পুলিশ। চালু হয়ে গেল সময় ধরে রেশন প্রদান।
সময় ধরে রেশন প্রদান মানে কিন্তু এই নয় যে, রেশন দোকান সামান্য সময় খোলা থাকবে। সময় ধরে রেশন প্রদান মানে হচ্ছে যে, রেশন গ্রাহককে যখন যে দিন রেশন দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হবে তাকে তখনই আসতে হবে। সেই দিনের আগে এলে বা সেই সময়ের আগে এলেও মিলবে না রেশন। লক ডাউনের বাজারে রেশন দোকানে ভিড় এড়াতে এখন এটাই অস্ত্র হয়ে উঠেছে কলকাতা পুলিশের কাছে।
এখন প্রত্যেক দিন রেশন দোকান থেকে বিলি করা হবে কুপন। সেই কুপনেই লেখা থাকবে কাকে কোন সময়ে রেশন দোকানে এসে সামগ্রী নিতে হবে। কুপনের সময় ধরে আসতে হবে। আগে এলে বা পরে এলে চলবে না। আর কোনও রেশন দোকানের সামনেই ২০জনের বেশি লাইনে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। আপাতত কলকাতার দুটি থানা এলাকার রেশন দোকানগুলিতে বুধবার থেকেই এই ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাকি থানাগুলিকেও যাতা তারা নিজ নিজ এলাকার রেশন দোকানেও এই পদ্ধতি চালু করেন।