ভারতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে নতুন আশঙ্কার কথা শোনাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাঁদের দাবি, কোয়ারেন্টাইন না মানলে মাত্র একজন রোগী অন্তত ৪০৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারেন। আইসিএমআরের একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এই মারাত্মক হারে সংক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করে দেশবাসীকে লকডাউন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্পষ্ট বলছে, করোনার থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল লকডাউন মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। কিন্তু, স্বাস্থ্য মন্ত্রক যখন সামাজিক দূরত্বের কথা বলছে, তখন দেশে লকডাউনের ভবিষ্যৎ কী, সেটা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নও আছে। দেশজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ১৪ এপ্রিল কি লকডাউন তুলে দেওয়া হবে? নাকি তা আরও কিছুদিনের জন্য বাড়ানো হবে? কোটি কোটি ভারতবাসীর মনে এখন এই প্রশ্ন ঘরাফেরা করছে। যদিও এখনই এ নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলছে না কেন্দ্র।
মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্তও হওয়ার পরও প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের শরীরে এর উপসর্গ সেভাবে দেখা যায় না। দেখা গেলেও তা একেবারে নগণ্য। এবং এর জন্য আলাদা করে করোনার চিকিৎসারও প্রয়োজন হয় না। যার ফলে এদের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে কিনা বোঝা যায় না। কিন্তু মুশকিল হল, এঁরা সকলেই করোনার বাহক হিসেবে কাজ করে। এবং এদের থেকে অন্যের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সেজন্য এই পরিস্থিতিতে লকডাউন মেনে চলাটা অন্যন্ত জরুরি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আইসিএমআরের গবেষণায় উঠে এসেছে, কোয়ারেন্টাইন না মানলে মাত্র একজন করোনা আক্রান্ত রোগী প্রায় ৪০৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। যা এককথায় বিপজ্জনক।