জল্পনা কি সত্যি হতে চলেছে? বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ? সূত্রের মারফত্ তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। জানা গিয়েছে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দেশে যে ভাবে বাড়ছে, তাতে বিভিন্ন রাজ্য সরকার ও বিশেষজ্ঞরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে। সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, শনিবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লাগু লকডাউনের তৃতীয় সপ্তাহ শুরু হয়েছে। ১৪ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে কী করা হতে পারে তা নিয়ে এখনও নিশ্চয়তা নেই। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছে এই লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য। একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে মোদী মন্ত্রীসভার বেশ কিছু মন্ত্রীর তরফে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা নির্ভর করছে আগামী শনিবারের ওই বৈঠকের ওপর।
ভারতে এখনও করোনা পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণে আসেনি তার প্রমাণ গত ২৪ ঘণ্টার পরিসংখ্যান। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সর্বাধিক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৭৭৩। মৃত্যু বেড়েছে ৩৫।
সূত্রের খবর, দেশের অর্থনীতিকে পুনরায় টেনে তুলতে ধীরে ধীরে এই লকডাউন সরানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। কারণ এই লকডাউনের ফলে কারখানা-ব্যবসা বাণিজ্যের উপর বিশাল প্রভাব পড়েছে। সেইসঙ্গে স্কুল-কলেজ-অফিস সব বন্ধ। দেশের অর্থনীতির উপর চাপ বাড়ছে। বেকারত্বের ভয় গ্রাস করেছে যুব সম্প্রদায়কে। এই অবস্থায় ধীরে ধীরে এই লকডাউন তুলে বিভিন্ন সেক্টরকে চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বিভিন্ন রাজ্যের তরফে বারবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হচ্ছে, এই মুহূর্তে যেন লকডাউন না তোলা হয়। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ইতিমধ্যেই তাঁদের রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। সেইসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন যদি উঠে যায়, তাহলে পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হতে পারে।
এদিকে, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ-সহ একাধিক মন্ত্রীরা। সেখানেই কয়েকজন মন্ত্রী প্রস্তাব দেন, লকডাউন বাড়ানো হোক বা তুলে নেওয়া হোক, এই মুহূর্তেই স্কুল-কলেজ খোলা উচিত হবে না। কারণ বেশিরভাগ স্কুলেই গরমের ছুটির সময় এগিয়ে আসছে। সেটাকেই কিছুটা এগিয়ে আনা হোক।