রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই ‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। করোনা মোকাবিলায় ২০০ কোটির ফান্ড থেকে সরকারি হাসপাতালে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ, বাজারের গিয়ে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বোঝানো সবটাই নিজের হাতে দায়িত্বে নিয়ে করেছেন মমতা। হেল্পলাইন নম্বর ও ত্রাণ সংগ্রহের জন্য অ্যাকাউন্ট নম্বর চালু করতেও সময় নেননি বেশি। ফের এমনই এক মহৎ উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির টেকনিশিয়ানদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি। যাঁরা দিন-রাত পরিশ্রম করে ক্যামেরার পিছন থেকে দর্শকদের বিনোদনের রসদ জোগান, তাঁদের জন্য টাকা তুলতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা নিয়েই তৈরি হচ্ছে একটি স্বল্পদৈর্ঘের ছবি।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসকে বিশ্বব্যাপী মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। বন্ধ স্টুডিও পাড়াও। ফলে আর্থিক সংকটের মুখে পড়ছেন অনেক টেকনিশিয়ান। তাঁদের সাহায্য করতেই শর্ট ফিল্ম তৈরির ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর। স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিটির পরিচালনায় অরিন্দম শীল। নাম ‘ঝড় থেকে যাবে একদিন’। জানা গিয়েছে, এ ছবির বিষয়বস্তুও করোনা সচেতনতা। এবং শিল্পীরা সবাই যে যাঁর বাড়িতে বসেই কাজ করবেন। ছবিটি থেকে যে অর্থ সংগৃহীত হবে, আনুমানিক প্রায় ৫০ লক্ষ, তা যাবে সিনেমা-সিরিয়ালের সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীদের তহবিলে। লক ডাউন চালু হওয়ার পর থেকে যাঁদের কাজ নেই, বন্ধ উপার্জন। তাঁদের কথা ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে আপ্লুত কলাকুশলীরা।
প্রসঙ্গত, ‘ঝড় থেমে যাবে একদিন’–এর স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলছেন অরিন্দম শীল এবং পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। ছবিতে গান রয়েছে, যা লিখেছেন স্বয়ং মমতা, সুর দিয়েছেন কবীর সুমন। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের দায়িত্বে বিক্রম ঘোষ। আর সম্পাদনা করছেন সংলাপ ভৌমিক। ছবিতে অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কোয়েল, মিমি, নুসরত, শুভশ্রী, রুক্মিণী, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরো ছবিটাই শুট করা হবে যাঁর যাঁর বাড়ি থেকেই। ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে ক্যামেলিয়া গ্রুপ। এই ছবির পাশে দাঁড়িয়েছেন, এগিয়ে এসেছেন ফিল্ম ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট স্বরূপ বিশ্বাস। আগামী বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে যাবে ছবির শুটিং। পরিচালক অরিন্দম শীল বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো সাধারণ মানুষের কাছে এই ছবি পৌঁছে দিতে পারব আমরা।’