দিনকয়েক ধরেই আরও খারাপ হচ্ছিল পরিস্থিতি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। যার জেরে সোমবারই একশো ছাড়িয়ে গিয়েছিল দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসের বলি হয়েছেন আরও ৩৫ জন। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪৯। অন্যদিকে, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫০০০ ছাড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া বুধবার সকালের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫,১৯৪। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই অবস্থায় দেশে লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানোর বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দেশে যে ভাবে বাড়ছে, তাতে বিভিন্ন রাজ্য সরকার ও বিশেষজ্ঞরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে। সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর দিন যত গড়িয়েছে, ততই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির জল্পনা গাঢ় হয়েছে। সোমবারই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও প্রধানমন্ত্রীর কাছে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন তুলে নেওয়া হলে বহু প্রাণ দিয়ে তার মূল্য চোকাতে হবে বলেও আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন তিনি।
আগে উত্তরপ্রদেশের এক শীর্ষ আমলাও একই কথা বলেছিলেন। তাঁর মত ছিল, ১৪ এপ্রিল লকডাউন তুলে নেওয়া মোটেই ঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। পাঞ্জাবের এক আমলাও একই মত পোষণ করেছিলেন। আবার গত শুক্রবার মহারাষ্ট্রের এক মন্ত্রীও বলেন, ১৪ এপ্রিল লকডাউন তুলে নেওয়া ঠিক হবে না। মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুও পরোক্ষে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছেন।