মুম্বইয়ের ধারাভি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বিগ্ন রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় সরকার। দেশ তথা এশিয়ার বৃহত্তম এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যদি একবার করোনা সংক্রমণ থাবা বসায় তাহলে যে কি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে দেশজুড়ে সেটা সকলেরই জানা। আর এই উদ্বেগ ক্রমশ বাড়িয়েই চলেছে ধারাভির একের পর এক সংক্রমণের খবর। ইতিমধ্যেই ধারাভি বসতির ৫ জনের শরীরে মিলেছে করোনার সংক্রমণ। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সেই সংখ্যাটাই বেড়ে হল ৭। ওই এলাকা থেকে আরও দুজন করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া গেল।
ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যার নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে এই রাজ্য। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫০ ছুঁইছুঁই। মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের, যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। এছাড়াও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৫৬ জন। এমতাবস্থায় ধারাভির মতো জনবহুল এলাকায় যদি একবার সমাজিক সংক্রমণ শুরু হয়ে যায় তাহলে যে কি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তা কল্পনা করেই প্রমাদ গুনছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের এই দুই আক্রান্ত ধারাভির ডাঃ বালিগা নগরের বাসিন্দা। ধারাভির দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তের পরিবারের সদস্য তাঁরা। একজন দ্বিতীয় আক্রান্তের ভাই এবং অন্যজন বাবা। চিকিৎসকদের অনুমান, দ্বিতীয় আক্রান্তের থেকেই তাঁর বাবা এবং ভাইয়ের শরীরে এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তবে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না সরকার। তাই ধারাভির ওই একই এলাকা থেকে তিনজন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়ায় সম্পূর্ণ সিল করা হয়েছে ডাঃ বালিগা নগর এলাকা। ওই এলাকায় প্রবেশের ওপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি আক্রান্তরা আর কারোর সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।