মারণ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গোটা দেশেই জারি রয়েছে লক ডাউন। গৃহবন্দী রয়েছেন সাধারণ জনগণ। কিন্তু এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও সচল রয়েছেন সেই সব পেশার মানুষ, যাঁরা অত্যাবশ্যক পরিষেবার সঙ্গে জড়িত, যেমন স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশ কর্মী। দিন-রাত এক করে পুলিশ কর্মীরা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন লক ডাউনকে সফল করতে। রাস্তায় নেমে পড়া জনগণদের বাড়ি পাঠাচ্ছেন, গরিবদের পৌঁছে দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় খাবার-পানীয় জল। এমনকি মানুষকে করোনা নিয়ে সচেতন করতে কখনও গান ধরছেন, কখনও বা ছবি আঁকছেন রাস্তাজুড়ে।
কিন্তু এই পুলিশ কর্মীরা সারাদিন-রাত রাস্তা-ঘাটে রয়েছেন। তাঁরা যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু গৃহবন্দী তো নয়। সেক্ষেত্রে নিজের পরিবারের মধ্যেই তাঁদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে। কাছের মানুষগুলোকে দূর থেকেই দেখতে হচ্ছে। এমনই চোখে জল আনা এক পরিস্থিতির কথা একটি সংবাদমাধ্যমে জানালেন ভোপালের পুলিশ অফিসার নির্মল কুমার শ্রীবাস । তিনি জানান, ‘বাড়িতে গিয়ে মেয়েটাকে কোলে পর্যন্ত নিতে পারি না। দূর থেকে ও আমার দিকে ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকে।’
তিনি বলছিলেন, ‘আমি বাড়িতেও আইসোলেশনে থাকি, আলাদা খাই। ও তো ছোট, এতকিছু বোধহয় বুঝে উঠতে পারে না, খালি দূর থেকে আমায় দেখতে থাকে।’ পুলিশ ইন্সপেক্টরের এই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতে মুহূর্তে ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর মেয়ে দূর থেকে দাঁড়িয়ে বাবাকে দেখছে এবং বাড়ির দাওয়ায় বসে খাবার খাচ্ছেন সেই ইন্সপেক্টর।
