অবশেষে চাপের মুখে ভাঙল বাঁধ। জরুরি অবস্থায় বেশ কয়েকটি ওষুধ ও ২৪টি ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান রফতানির ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ তুলে নিল সরকার। গত মাসে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত শুরু হতেই এই ওষুধ ও ওষুধ প্রস্তুতির উপাদানগুলি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত।
ঠিক কোন চাপের মুখে এই নতি স্বীকার তা স্পষ্ট নয়। তবে সরকারি সূত্রে খবর, এই রফতানি তুলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।
শনিবারই হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র টুইট করে বলেন, ‘বিশ্বের স্বাস্থ্যসংকটের মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। যাতে ওষুধ এবং তৎসংক্রান্ত উপাদান সরবরাহ মসৃণ থাকে, এই নিয়ে কথা বলবেন তাঁরা। শনিবারই নরেন্দ্র মোদীকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাঠাতেও অনুরোধ করেন ট্রাম্প। ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা না-তুললে ভারতকে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এর পরেই ভারতের এই ঘোষণা।
রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়া ওষুধের মধ্যে প্রধান ছিল প্যারাসিটেমল। যদিও প্যারাসিটেমলকে ওষুধের তালিকায় ধরা হয় না, বলা হয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান। এছাড়াও ছিল ২৫টি যৌগ। ছিল ভিটামিন বি১২, টিনিডাজোলের মতো জরুরি অ্যান্টিবায়োটিক।
ওষুধ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা তুললেও চিকিৎসা পরীক্ষার সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখছে কেন্দ্র।