পেশায় ডাক্তার, সমাজসেবী আবার বিলেত-সুন্দরীও। ২০১৯ সালে মিস-ইংল্যান্ড খেতাব পাওয়া প্রথম বাঙালি মেয়ে তিনিই। বিলেত-সুন্দরীর খেতাব জয়ের পরদিনই লিঙ্কনশায়ারের হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে যোগ দিয়ে বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন এই বঙ্গতনয়া ভাষা মুখোপাধ্যায়। করোনা সঙ্কটের এই জটিল মুহূর্তে ফের তাঁকে দেখা গেল এক অন্য ভূমিকায়। ডাক্তারি ছেড়ে সমাজসেবায় মন দিয়েছিলেন, ফের একবার গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে মরণাপন্ন রোগীদের পাশে দাঁড়ালেন ভাষা।
ব্রিটেনে ফিরে এসে বস্টনের পিলগ্রিম হাসপাতালে কাজে যোগ দিয়েছেন ভাষা। ২৪ বছরের বঙ্গকন্যা জানিয়েছেন, আফ্রিকা, তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে সমাজসেবামূলক কাজের জন্য নিমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। অনেক চ্যারিটি-অ্যাসোসিয়েশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও ছিলেন। কোভেন্ট্রি মার্সিয়া লায়ন’স ক্লাবের হয়ে ভারতের নানা জায়গায় ত্রাণ, স্কুল-কলেজে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দিয়েছেন। দুঃস্থ, মেধাবী মেয়েদের পড়াশোনা ও সামাজিক সম্মানের জন্য তাঁর লড়াই বহুদিনের।
“বিশ্বের নানা দেশে সমাজসেবামূলক কাজের জন্য ডাকা হয়েছিল আমাকে। ডাক্তারি ছেড়ে দিয়েছিলাম তার জন্য। কিন্তু ব্রিটেনে আমার সহকর্মীরা সঙ্কটে রয়েছেন। তাঁদের ডাকে ফিরে এলাম”, বলেছেন ভাষা। তাঁর কথায়, “যেখানে এত মানুষ মরছে সেখানে সৌন্দর্যের মুকুট কী কাজে আসবে। ইংল্যান্ডই আমাকে সেরা সুন্দরীর খেতাব দিয়েছে, এবার তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। তবেই এই খেতাবের সার্থকতা হবে।”