একসময় কেউ চলে গিয়েছিলেন ভিনরাজ্যে। আবার কেউ কাঁটাতার পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সোজা বাংলাদেশ। আর তারপরই হারিয়ে যেতেন অন্ধকার জগতে। সোজা কথায়, সবাই পাচার হয়ে যেতেন অন্যান্য রাজ্যে বা বিদেশে। করোনা মোকাবিলায় জারি হওয়া লক ডাউনের বাজারে এ বার সেই সব পাচার হয়ে যাওয়া মেয়েদের পাশে দাঁড়ালেন দীপেন্দু বিশ্বাস।
বসিরহাটের তৃণমূল বিধায়ক-ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস আজ তাঁর এলাকার এমন ২৩ জন মহিলার পাশে দাঁড়াচ্ছেন, যাঁরা এক সময় পাচার হয়ে গিয়েছিলেন। পরে উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁদের। করোনার প্রভাবে লক ডাউনের জন্য এঁরা এখন খুবই অসহায়। তাঁদেরই থাকা-খাওয়া এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন দীপেন্দু।
বাংলার বুকে বসিরহাট হল সেই জায়গা, যা একসময় মেয়ে পাচারের দিক থেকে কার্যত শীর্ষস্থানে ছিল। দীপেন্দু বিধায়ক হওয়ার পর এই পাচার রুখতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। অনেককেই উদ্ধার করেছেন বিভিন্ন সময়ে। এখন লক ডাউনের জন্য এই সব মেয়েরা খুবই বিপাকে পড়েছেন। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের এই মেয়েরা যাতে এই বিপদের দিনে দু’বেলা খাবার পেতে পারে, সেই জন্যই উদ্যোগ নিয়েছেন দীপেন্দু।
আজ বসিরহাটে নিজের অফিসে ২৩ জনকে ডেকে চাল-ডাল-আলু-ডিম যেমন দেবেন, তেমনই চিকিৎসা এবং নিরাপত্তার ব্যাপারটাও পাকা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সোমবার ফোনে বসিরহাট থেকে দীপেন্দু বললেন, ‘অনেকে এক সময় মুম্বই-পাঞ্জাবে যেমন পাচার হয়ে গিয়েছিলেন, কেউ-কেউ বাংলাদেশেও চলে যান। আমি বিধায়ক হওয়ার পর তালিকা বানিয়ে এঁদের অনেককেই উদ্ধার করে ফিরিয়ে এনেছি। মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী এবং রূপশ্রী প্রকল্পের পর মেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এখন লক ডাউনে তাঁদের দুর্দিনে ফের পাশে দাঁড়ালেন দীপেন্দু।