দেশে ফিরে আসার জন্য স্পেনের দূতাবাস গত দু’সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ রাখছিল কিবু, বেইতিয়া, ফ্রান গঞ্জালেস, খুয়ান মেরা গঞ্জালেস, কোলাদোদের সঙ্গে। মাদ্রিদ-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন বহু মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যাও প্রচুর। এই অবস্থায় ভারতে কাজ করতে আসা স্পেনীয়দের বিভিন্ন দিনের বিমানের টিকিট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিমানবন্দরে। কিন্তু সেই বিমান ধরা হয়নি কিবুদের। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তারা হতাশ।
স্পেন থেকে পাঠানো শেষ বিমান ধরার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পরে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন কিবু ভিকুনা, মারিয়ো রিভেরারা। এখন দেশে ফেরার জন্য ফেডারেশন ও ক্লাবের দিকে তাকিয়ে শহরে থাকা দুই প্রধানের এগারোজন ফুটবলার এবং কোচ।
চিঠি দিয়ে ফ্রান গঞ্জালেসদের প্রত্যেকের নামে রাখা টিকিট পাঠানোর খবর ই-মেল করে জানানোর পাশাপাশি বলা হয়েছিল, ২৫ কেজির বেশি জিনিসপত্র সঙ্গে নেওয়া যাবে না। শেষ বিমানটি ভারতে নামার কথা ছিল রবিবার। কিন্তু আই লিগ শেষ না হওয়ায় মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গলের স্পেনীয় ফুটবলারদের কেউই যেতে পারেননি দেশে। রাজারহাটের আবাসনে ঘরবন্দি হয়ে আশঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন সকলে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ এবং টিভিতে স্পেনের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির ছবি দেখছেন এক সঙ্গে বসে। সবুজ-মেরুন এবং লাল-হলুদ— দু’পক্ষের স্পেনীয় ফুটবলারেরা মাঠের বিরোধ দূরে সরিয়ে মিশে গিয়েছেন। আলোচনা করছেন নিজেদের দেশ নিয়ে। আর চাতক পাখির মতো তাকিয়ে আছেন ফেডারেশনের দিকে। আই লিগ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির ফুটবল কর্তারা, তা জানার জন্য উন্মুখ সকলেই।