দিনকয়েক ধরেই আরও খারাপ হচ্ছিল পরিস্থিতি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। যার জেরে গতকালই একশো ছাড়িয়ে গিয়েছিল দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। আজ তা বেড়ে হল ১১৪। এবং গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ৩৫৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ৪,৪২১-এ। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় অর্থের জোগান দিতে সাংসদ মন্ত্রীদের বেতনে ছেঁটেছে কেন্দ্র। কিন্তু তার পাশাপাশি কোপ বসানো হয়েছে সাংসদদের নিজস্ব এলাকা উন্নয়ন তহবিলেও। এই নিয়েই এবার ক্ষোভ উগড়ে দিল বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী একবছরের জন্য সাংসদরা ৩০ শতাংশ কম বেতন পাবেন। সেই সঙ্গে কোপ বসানো হয়েছে সাংসদদের নিজস্ব এলাকা উন্নয়ন তহবিলেও। আগামী ২ বছর এলাকার উন্নয়ন খাতে কোনও অর্থ পাবেন না সাংসদরা। সেই টাকা যাবে সরকারের তহবিলে। করোনা মোকাবিলায় সেই টাকা নিজের মতো করেই খরচ করবে সরকার। এখানেই আপত্তি বিরোধীদের। তাঁরা বলছেন, করোনার রুখতে সাংসদদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত। প্রয়োজনে আরও কমানো যেতে পারে বেতন। কিন্তু, এমপি-ল্যাডের টাকা এলাকার মানুষের নৈতিক অধিকার। এভাবে সাধারণ মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘আমি সাংসদ তহবিলের টাকা বাতিল করার বিরোধিতা করছি। এটা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক।’ কংগ্রেস এবং বামেরা সরকারের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে কটাক্ষ করছে। তাঁদের দাবি, কোনও সাংসদ যদি চান, তাহলে তিনি তাঁর নিজের সাংসদ তহবিলের পুরো টাকাটাই করোনা মোকাবিলায় খরচ করতে পারেন। এভাবে সরকার তাঁদের উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরি বলছেন, ‘সরকারের এই সিদ্ধান্তেই বোঝা যাচ্ছে দেশে আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে। আপনারা চাইলে আমাদের বেতন আরও কেটে নিতে পারেন, কিন্তু এমপি-ল্যাড বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। সাংসদ তহবিলের অর্থ বাতিল করা জনপ্রতিনিধি এবং জনগণ দুইয়ের সাথেই ঘোরতর অন্যায়।’