ভারতবর্ষকে করোনা মুক্ত করতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মূলত, নাগরিকদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রীর এই সামাজিক দুরত্বের ডাক অনেকাংশে মেনেও নিয়েছে ভারতবাসী। ব্যতিক্রম বিজেপিরই এক বিধায়ক। যিনি লকডাউন এবং সামাজিক দুরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাড়ম্বরে পালন করলেন নিজের জন্মদিন।
তিনি মহারাষ্ট্রের ওয়ারধা জেলার আরভি কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক দাদারাও কেচের। যিনি কিনা নিজের জন্মদিন পালনের জন্য বাড়ির সামনে কয়েকশো মানুষের ভিড় জমিয়ে তাঁদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করছিলেন। বলা বাহুল্য, ত্রাণ বিলির সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি আর তাঁর মাথায় ছিল না। লোকজন রীতিমতো হুড়োহুড়ি বাঁধিয়ে দিয়েছেন একটু চাল এবং গম পাওয়ার জন্য। যা কিনা শুধু স্বাস্থ্যবিধির পরিপন্থীই নয়, রীতিমতো বিপজ্জনক। কারণ, মহারাষ্ট্র দেশের সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত রাজ্যগুলির একটি। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ছবি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশ গিয়ে ওই ভিড় সরিয়ে দেয়।
প্রশ্ন উঠছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন নিজে সামাজিক দূরত্বের কথা বলছেন। বিশ্বজুড়ে চিকিৎসক, গবেষকরা বলছেন, করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপযোগী উপায় হল পরস্পরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা। তখন বিজেপিরই এক বিধায়ক এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ড ঘটালেন কী করে? যদি ত্রাণ বিলিই তাঁর উদ্দেশ্য হত, সেটা তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়েই দিয়ে আসতে পারতেন। এ প্রশ্নের জবাবে দাদারাও বলছেন, আমার উদ্দেশ্য ছিল ২১ জনকে ত্রাণ দেওয়া। প্রতি বছরই নিজের জন্মদিনে আমি এই কাজটি করে থাকি। কিন্তু বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে এত লোক পাঠিয়ে দিয়েছে। যদিও ওই বিধায়কের কোনও সাফাই কাজে লাগেনি। পুলিশ জানিয়ছে, তিনি বিনা অনুমতিতেই জমায়েত করেছিলেন। মহামারী আইন ভঙ্গের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।