তাবলিগ–ই–জামাত এর ধর্মসভায় যোগ দেওয়া যে সব ব্যক্তি উত্তরাখণ্ডে ফিরেছেন, তারা যদি ৬ এপ্রিলের মধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ না করেন এবং পরবর্তী সময় যদি দেখা যায় তাদের মধ্যে কারওর করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিয়েছে তাহলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুন করার চেষ্টা’র অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানানো হয়েছে উত্তরাখণ্ড পুলিশের তরফে। উত্তরাখণ্ডে এখনও পর্যন্ত কোভিড–১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৬ যার মধ্যে ১৬ জনেরই যোগ রয়েছে তাবলিগ–ই–জামাত সমাবেশের সঙ্গে। সংক্রমক ব্যক্তিরা দেরাদুন, নৈনিতাল, হরিদ্বার ও উধম সিং নগর জেলার বাসিন্দা।
উত্তরাখণ্ডের ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ অনিলকে রাতুরি উত্তরাখণ্ডে ফিরে আসা তাবলিগ–ই–জামাত এর ধর্মসভায় যোগ দেওয়া সবাইকে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা ঘোষণা করে জানান, ‘যদি ৬ এপ্রিলের পর জানতে পারে যায় যে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন এবং তার থেকে অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে খুন করার চেষ্টা সহ বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে অভিযোগ আনা হবে। যদি আশেপাশের গ্রামে বা অঞ্চলে কারওর মৃত্যু হয় তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হবে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাতুরি সাংবাদিকদের জানান, প্রশাসন ও পুলিশের আধিকারিকরা তাবলিগ–ই–জামাত এর সদস্যদের খোঁজ চালাচ্ছেন যারা নিজামুদ্দিনে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সমাবেশ থেকে উত্তরাখণ্ডে ফিরে এসেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই ৩২৫ জনের নাম পেয়েছে যারা ১ মার্চের পর অন্য রাজ্য থেকে উত্তরাখণ্ডে এসেছিলেন তাবলিগ–ই–জামাত এর সমাবেশে যোগ দিতে। তার মধ্যে ৯ জন রাজ্য ছেড়ে চলে গেছেন এবং ২৬০ জন শনিবার পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। উত্তরাখণ্ড থেকে ৩৮৩ জন ধর্মসভায় যোগ দিয়েছিলেন যাদের মধ্যে ২৬ জন এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ফেরেননি। বাকিরা বাড়িতে বা কোনও প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় রয়েছেন।