গত ২৩ মার্চ থেকে দেশে লক ডাউন জারি হওয়ার পর ২ সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। তারপরই এই বিষয়টি নিয়ে আজ দফায় দফায় টুইট করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। তাঁর বক্তব্য, আমাদের দেশ এখন কোভিড ১৯ সংক্রমণের ‘গুরুত্বপূর্ণ দুই সপ্তাহের’ পর্বে প্রবেশ করেছে। ৭৪ বছর বয়সী এই কংগ্রেস নেতা এদিন টুইটারে লিখেছেন, ‘কোভিড ১৯ অতিমহামারী ভারতেও ছড়িয়েছে। প্রায় চার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।’
এর পরে তিনি আবার একটি টুইট করে বলেন, ‘আজ ভারত গুরুত্বপূর্ণ দুই সপ্তাহের পর্বে প্রবেশ করল। সারা বিশ্বের ক্ষেত্রেই একথা বলা যায়। মোদী বিরোধীদলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ভাল করেছেন। আমি নিশ্চিত, বিরোধীরা প্রত্যেকেই মোদীকে বলেছেন, তাঁরা সরকারকে সাহায্য করবেন।’ এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল অনেক সময় সরকারের ভুলভ্রান্তির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাঁদের উদ্দেশ্য হল সরকারকে সাহায্য করা। কংগ্রেস গঠনমূলক সমালোচনায় বিশ্বাসী।’
শেষ টুইটে তিনি বলেছেন, ‘এখন যত বেশি সংখ্যক মানুষকে পরীক্ষা করতে হবে। মহামারী বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক ও জেলা স্তরের প্রশাসকরা একবাক্যে বলছেন, আরও বেশি মানুষকে পরীক্ষা করা দরকার। সরকার চেষ্টা করুক যাতে আরও বেশি টেস্ট করা যায়।’ প্রসঙ্গত, রবিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করেন মোদী। দেশে করোনা সংক্রমণের ফলে বর্তমানে কী পরিস্থিতি তা নিয়েই তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার দুই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও প্রতিভা পাটিল এবং আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়াকেও ফোন করেন মোদী। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতাদেরও এদিন মোদী ফোন করেছেন বলে খবর। সেই তালিকায় রয়েছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিং যাদব ও অখিলেশ যাদব, উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, ডিএমকে প্রধান এম কে স্টালিন, পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল প্রমুখ। সবাইকে ফোন করে তাঁদের রাজ্যের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী খোঁজ খবর নেন বলে জানা গিয়েছে।