কোয়ারান্টাইন সেন্টারে দায়িত্ব দেওয়ার পরেও করোনা আতঙ্কে কাজমুখো হননি দুজন। আর এই না যাওয়ার অপরাধে এবার চাকরি খোয়ালেন আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত দুই স্বাস্থ্যকর্মী। জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী জানান, দেশের এমন বিপর্যয়ের মুহূর্তে দুই স্বাস্থ্যকর্মী কর্তব্যে অবহেলার পাশাপাশি উপরমহলের নির্দেশ মানেননি। তাই স্বাস্থ্য দফতর ওই দুই কর্মীকে বরখাস্ত করেছে।
সম্প্রতি কালচিনি ব্লকের মেন্দাবাড়িতে কালচিনি মডেল হিন্দি হাইস্কুলে কোয়ারান্টাইন সেণ্টার তৈরি করা হয়। ৩ এপ্রিল ব্লকের কিছু স্বাস্থ্য কর্মীকে কেন্দ্রটির দায়িত্ব দেয় স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবার দায়িত্ব পাওয়ার পরেও ওই দুই স্বাস্থ্যকর্মী প্রবীর কুমার সরকার ও দেবাশিস বর্মন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাননি বলে অভিযোগ মিলেছে। তারপরই এমন কঠোর পদক্ষেপ নেয় স্বাস্থ্য দফতর।
জানা গেছে, ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে মোট ১৮ জনকে। তাঁদের মধ্যে একজন দিল্লীর ধর্মীয় মহাসভা নিজা়মউদ্দিন ফেরত। বাকি ১৭ জন তাঁরই সংস্পর্শে এসেছিলেন। এ কথা জানতে পেরেই শুক্রবার রাতে ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে তাঁদের ডিউটি থাকলেও সেখানে যাননি। এমনকি পরের দিন সকালেও তাঁরা কাজে যাননি। তারপরেই স্বাস্থ্য দফতরের নজরে আসে বিষয়টি। কাজে যেতে বলা হয় তাঁদের। কিন্তু তাঁরা জানিয়ে দেন ওই সেন্টারে কাজে যাবেন না। এরপরেই শো-কজ করা হয় তাঁদের। কিন্তু শো-কজের উত্তর না মেলায় শেষ অবধি তাঁদের বরখাস্ত করা হয়।