লক ডাউনের মধ্যে, যেখানে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকাই কার্যত দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে রেশনের দ্রব্য নিয়ে কারচুপির অভিযোগ উঠল ডিলারের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই দিয়েছেন, দুঃস্থ পরিবারগুলির সঙ্গে দুর্নীতি করলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার। আর এবার সেই কথামতই একাধিক স্তর থেকে অভিযোগ ওঠার পর সেই রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করল মালদা জেলা খাদ্য দফতর। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত রেশন ডিলারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
করোনার মোকাবিলায় রাজ্যের যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে দুঃস্থ পরিবারগুলির মুখে অন্ন তুলে দিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে সেই রেশন পরিষেবা। তারপরই গাজোল ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মশালদিঘির আহোরা গ্রামের রেশন ডিলার আনন্দ বিশ্বাস কারচুপি শুরু করেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসেন জেলা খাদ্য দফতরের কর্তারা। এলাকায় গিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখেন। রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করা হয়। রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় অভিযোগও করা হয়। অন্য এক রেশন ডিলারের হাতে এই রেশন সামগ্রী দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, কোনও পরিবারের মাথা পিছু যদি পাঁচটি কার্ড থাকে তবে সেই পরিবারকে তিনটি অথবা চারটি কার্ডের বিনিময়ে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সরকার মাথা পিছু যে পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী ধার্য করেছে, তার থেকে পরিমাণে কম দ্রব্য দিচ্ছিলেন সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি।