করোনা রুখতে গোটা দেশে লক ডাউন জারি থাকায় এইমুহূর্তে ভিন রাজ্যে আটকে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ১১ হাজারেরও বেশি শ্রমিক। ঠিক মত খাদ্য না মেলায় অনেকেই অনাহারে দিন কাটাচ্ছিলেন। এই খবর মেলার পরেই তড়িঘড়ি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এদিন এমনটাই জানালেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী। জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানান, ওই শ্রমিকেরা কোথায় আটকে রয়েছেন, তার বিশদ তালিকা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে কী সমস্যা রয়েছে জানার পরে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।
জেলাশাসক বলেন, ‘১১ হাজারের বেশি শ্রমিক বাইরে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরা যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়েন সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মুম্বই, পুণে, কেরল, চেন্নাই, ভেল্লোর, এর্নাকুলাম-সহ বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে ওই শ্রমিকদের রাখা হয়েছে। সেই সব শিবিরে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভিন জেলা বা ভিন রাজ্য থেকে পূর্ব বর্ধমানে এসে প্রায় ৮,০৯৪ জন আটকে রয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই ইটভাটা বা আলু তোলার কাজে জেলায় এসেছিলেন। জেলা প্রশাসনের দাবি, শুধু মেমারিতেই দু’হাজারের বেশি এমন শ্রমিক রয়েছেন। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ, ওই সব শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার ভার মালিকদেরই বহন করতে হবে। কিন্তু লক ডাউন-এর সময় যত গড়াচ্ছে, এই ভার বহন করা মুশকিল হয়ে পড়ছে বলে দাবি ইটভাটা বা জমির মালিকদের অনেকের। মেমারির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের এলাকায় বাগিলা প্রাথমিক স্কুলে বাইরের শ্রমিকেরা রয়েছেন। তাঁদের খাওয়ানোর দায়িত্ব এক-এক দিন এক জন করে গ্রামবাসী নিয়েছেন।’