করোনা-যুদ্ধের অঙ্গ হিসেবে মোদী আগামী রবিবার রাত ৯টায় ৯ মিনিটের জন্য বাড়ির আলো নিভিয়ে বারান্দা বা দরজায় মোমবাতি-প্রদীপ জ্বালাতে বলেছেন। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কর্তাদের দুশ্চিন্তা, এর ফলে রবিবার রাত ৯টায় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা আচমকা বেশ খানিকটা কমে যাবে। আবার ৯ মিনিট পরে অনেকখানি বেড়ে যাবে। এর ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহের গ্রিড ভেঙে পড়তে পারে। দেশে ‘ব্ল্যাকআউট’ হয়ে যেতে পারে।
সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রিসিটি রেগুলেটরি অথরিটি অনুযায়ী সাধারণ অবস্থায় পাওয়ার গ্রিডগুলির ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের পারমিশেবল রেঞ্জ ৪৯.৯৫ থেকে ৫০.০৫ হার্জ। কিন্তু হঠাৎ করে এই পাওয়ার ফ্লোর কোনও তারতম্য হলে বসে যেতে পারে এই গ্রিডগুলো। ফলে সারা দেশেই বিদ্যুৎ চলে যেতে পারে। তবে সেই পরিস্থিতি যাতে না আসে তাই পাওয়ার সিস্টেম অপারেশন কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সকল গ্রিড ম্যানেজারদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এমনিতেই সারা দেশে লক ডাউনের ফলে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গিয়েছে। ফলে পাওয়ার গ্রিডগুলির ওপর একটা চাপ পড়ছে। এখন সারা দেশে ব্ল্যাক আউট হলে আরও চাপ পড়ার সম্ভাবনা থাকছে। কিন্তু যেহেতু আমরা জানি যে কখন এই ব্ল্যাক আউট হবে, তাই সেইমতো আমরা তৈরি থাকতে পারবো।’
উল্লেখ্য, লক ডাউনের ফলে দেশব্যাপী বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই কমে গিয়েছে। গত বছর যেখানে এই সময় বিদ্যুতের চাহিদা ১৬৮.৩২ গিগা ওয়াট ছিল, সেখানেই এই বছর তা ২৫ শতাংশ কমে ১২৫.৮১ গিগা ওয়াট হয়ে গিয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পাওয়ার সিস্টেম অপারেশন কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে দেশের পাঁচটি রিজিওনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টার ও ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে ব্ল্যাক আউটের সময় গ্রিড ফ্রিকোয়েন্সি কমে তা বসে না যায়, তা সুনিশ্চিত করতে। তবে আধিকারিকদের আশা যেহেতু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী এই ব্ল্যাক আউট হবে, তাই হঠাৎ গ্রিড বসে যাওয়া থেকে আটকাতে পারবেন কর্মীরা।