দেশে করোনা আক্রান্তদের সুস্থ করতে জানপ্রাণ দিয়ে লড়ছেন চিকিৎসক, নার্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। এদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর নানা খামতি থাকা সত্বেও নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। জনতা কারফিউয়ের দিন জরুরী পরিষেবা ক্ষেত্রের মানুষদের অবদান মনে করিয়ে দেশবাসীকে হাততালি দিয়ে সম্মান জানাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন সারা দেশ বেরিয়ে থালা বাজিয়েছিল। আর তার সপ্তাহ খানেক কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের তাতপাত্তি এলাকায় সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরই হামলা চালিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তারা। ছোঁড়া হয়েছিল পাথর। কিন্তু তাতেও পিছু হঠলেন না ‘আক্রান্ত’রা। শুক্রবার সকালে আবার ওই এলাকাতেই পৌঁছে গেলেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ওই মেডিক্যাল টিমের অন্যতম চিকিৎসক জাকিয়া সইদ গতকাল জনরোষের মুখে পড়েছিলেন। আজ তিনি বলেন, ‘আমাদের আঘাত লেগেছে ঠিকই। কিন্তূ তাই বলে এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের দায়িত্ব, কর্তব্য থেকে সরে আসতে পারি না।’ প্রসঙ্গত, তাতপাত্তি এলাকায় ৫৪টি পরিবারকে হোম-আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আরও কয়েকটি পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অসন্তোষ দানা বাঁধে এখান থেকেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসা করছেন ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীরা। যার ফলে গতকাল স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় পৌঁছলে তাদের দিকে ইট-পাথর ছুঁড়তে শুরু করে এলাকাবাসী। মারধরের চেষ্টা হয় ডাক্তারদের। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল একই ঘটনা ঘটেছিল কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। জনতার মারে হাত ভেঙে গিয়েছিল এক আশা কর্মীর।