করোনার সঙ্গে যুদ্ধে এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন শাহরুখ খান। তাঁর সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট, রেড চিলিজ বিএফএক্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স ও মীর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সাহায্য করবেন তিনি। এক বিবৃতিতে কেকেআর-এর তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর করোনা তহবিলে তারা অনুদান দেবে। এছাড়া মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান দেবে রেড চিলিজ।
কলকাতা নাইট রাইডার্স ও ‘মীর ফাউন্ডেশন’ মেডিকেল স্টাফদের ৫০ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম দেবে। মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ এই সুরক্ষা সরঞ্জাম পাবে। এছাড়াও ‘এক সাথ’ নামের আরকেটি সংস্থার সঙ্গে মিলে মীর ফাউন্ডেশন মুম্বইয়ের সাড়ে ৫ হাজার পরিবারকে অন্তত একমাস খাদ্য সরবরাহ করবে। এছাড়া হাসপাতাল ও অন্য পরিবারের জন্য ২ হাজার প্যাকেট খাবার তৈরি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী তো বটেই বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্যোগের প্রশংসাও করেছেন শাহরুখ। সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে তেমনই আছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেখা যাক, দেশের এই কঠিন সময়ে কী কী ধরনের সাহায্য করতে চলেছেন শাহরুখ খান।
১. শাহরুখ খান, তাঁর স্ত্রী গৌরী, জুহি চাওলা ও তাঁর স্বামী জয় মেহতার আইপিএল টিম কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রধানমন্ত্রীর করোনা তহবিলে অর্থ সাহায্য করবে। পরিমাণ জানানো হয়নি।
২. শাহরুখ ও গৌরীর সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে অর্থ সাহায্য করবে।
৩. মীর ফাউন্ডেশন ও কেকেআর পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র সরকারের লড়াইয়ে সহযোগিতা করতে ৫০ হাজার পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই দেবে।
মীর ফাউন্ডেশন দ্য আর্থ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুম্বইয়ে ৫,৫০০-র বেশি পরিবারকে অন্তত ১ মাসের জন্য খাদ্য সামগ্রী দেবে। একটি রান্নাঘরও চালু করেছে তারা। যেখানে প্রতিদিন রান্না করা টাটকা খাবার ২ হাজার প্যাকেটবন্দি হয়ে চলে যাবে সাহায্যপ্রার্থী পরিবার ও হাসপাতালগুলিতে।
৫. মীর ফাউন্ডেশন ও রোটি ফাউন্ডেশন একসঙ্গে করোনার জেরে আর্থিক সমস্যায় পড়া মানুষ ও মজুরদের পাশে দাঁড়াবে। ৩ লাখ খাবারের প্যাকেটের ব্যবস্থা করবে তারা, যার মাধ্যমে ১০ হাজার মানুষের মাস খানেকের খাবার পাবে।
৬. ওয়ার্কিং পিপলস চার্টারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মীর ফাউন্ডেশন দিল্লির ২,৫০০ মজুরকে অন্তত ১ মাসের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও রেশন দেবে।
৭. পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লী, উত্তর প্রদেশ, বিহার ও উত্তরাখণ্ডের ১০০-র বেশি অ্যাসিড আক্রান্তকে ১ মাসের জন্য সাহায্য করা হবে।