ওষুধের সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক। তবে অনেক জায়গায় দোকানে খুঁজেও মিলছে না বেবিফুড। পেলেও মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে। দুশ্চিন্তায় বাবা-মায়েরা। কিন্তু কেন এই অবস্থা?
লকডাউনে বাজারে মিলছে খাবার-ওষুধ। কিন্তু বেবিফুড? এখনই বিভিন্ন স্টকিস্টের কাছে কমছে সরবরাহ। ফলে রাতের ঘুম উড়েছে লেকটাউনের সোমা বসাক থেকে যাদবপুরের জয়দীপ মজুমদারদের। কারণ তাঁদের দুগ্ধপোষ্য শিশুসন্তান রয়েছে। বাচ্চাদের খাওয়াবেন কি? দুশ্চিন্তায় দোকানে দোকানে অর্ডার দিয়ে রাখছেন তাঁরা। তাতেও প্রয়োজন মতো বেবিফুড মিলছে না বলে অভিযোগ।
উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা, সঙ্গে শহরতলি – সব জায়গাতেই একই অবস্থা। পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ডিস্ট্রিবিউটাররা বেবিফুড পাঠাতে পারছেন না। কারণ লকডাউনে পরিবহণ বা কর্মীর অভাবেই এই সংকট। কলকাতায় বেবিফুডের জোগান আসে মূলত বড়বাজার থেকে। স্টকপয়েন্ট থেকে হোলসেলারদের কাছে পৌছচ্ছে না বেবিফুড।
পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে বাজারে বেবিফুডের চাহিদার তুলনায় চল্লিশ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। লকডাউন ঘোষণার পরেই,উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছিল, বেবিফুডের কোনও অভাব নেই। পর্যাপ্ত বেবিফুড মজুত রয়েছে।
সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা একেবারেই অন্যরকম। দোকানে দোকানে ঘুরে অবশেষে ডিসকাউন্ট ছাড়াই পাওয়া যাচ্ছে বেবিফুড, কিন্তু কাল কি হবে? বেবিফুডের সংকট দেখা দেবে নাতো?